পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও তার ছেলেদিগকে কলঙ্ক হ’তে রক্ষণ করা। ; আজই যদি আশ্রম ছেড়ে যাই—হয় ত কোন কথা হ’তে পারে। যদিও কেউ ঠিক জানবে না—তবু একটি স্ত্রীলোক প্রাণত্যাগ কল্পেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তার শুশ্রুষাকারী আশ্রম ত্যাগ কল্লেন---এই দুইটি ঘটনাকে কতরূপ কল্পনার সূতো দিয়ে লোকে জড়িয়ে ফেলতে পারে। এটি ভেবে আশ্রমে ফিরে আসাই ঠিক ক'নে রাত ৪টার সময় তথায় এসে বারেণ্ডায় একখানি খাটিয়ার উপর পড়ে রইলেন। । শব বাধা হচ্ছে, তিনি পা টিপে ঘরে উকি মেরে সেই আলুলায়িত কেশ, সিন্দুরো জ্বল কপাল, অশ্র-স্নিগ্ধ ডাগর চােখ দুটি—একবার জন্মের শোধ দেখে নিলেন-তার পর ফিরে খাট্টার কাছে এসে তার পায় । ধ’রে এক হাতে বুক চেপে ধ'রে কান্না থামাতে চেষ্টা করলেন। একজন সন্ন্যাসী বল্লেন, “কিশোরানন্দকে যে দেখছি না, শ্মশানে তিনি যাবেন না ?” প্ৰেমানন্দ মহারাজ উপস্থিত ছিলেন, তিনি বলেন “আর সকল কাজেই আমি কিশোরানন্দকে নিযুক্ত করতে দ্বিধা বোধ করি না-কিন্তু দরে হাট-মাঠের পথ ভেঙ্গে যেতে হ’লে, ওঁর পা দুখানি মনে করে ক্লেশ৷ হয়। ওঁর পায়ের তলা কেমন পদ্ম-দলের মত কোমল ও রাঙ্গা-পথের কঁকার কখনও ভেঙ্গেছেন, এ যেন মনে হয় না । ওঁকে না হয় বাদ দাও ।” বারেণ্ডায় বসে কিশোর রায় সব কথা শুনতে পেয়েছিলেন, তিনি এসে বল্পেন “আমি যাব ।” ইনি উপস্থিত থাকতে স্ত্রীর মুখাগ্নি অপারে করবে, এটি ঠােৱ প্ৰাণে ও সঙ্কল না । 2\Cyo