বিরিঞ্চিবাবা বলিলেন— 'কি হয়েছে, কি হয়েছে-আহা, ওকে আসতে দাও আমার কাছে।'
সত্য নিকটে গিয়া বলিল— ‘উদ্ধার কর বাবা, মানব-জন্মে ঘেন্না ধ'রে গেছে। আমায় হরিণ ক'রে সেই ত্রেতা যুগে কণ্ব মুনির আশ্রমে ছেড়ে দাও বাবা! অর্থ চাই না, মান চাই না, স্বর্গও চাই না। শুধু চাট্টি কচি ঘাস, শকুন্তলার নিজের হাতে ছেঁড়া। আব এক জোড়া বড় শিং দিও প্রভু, দুষ্মন্তটাকে যাতে গুঁতিয়ে দিতে পারি।”
নিবারণ বেগতিক দেখিয়া বলিল—'ছেলেটার মাথা খাবাপ হয়ে গেছে বাবা।বিস্তর শোক পেয়েছে কিনা।'
ঘড়িতে সাতটা বাজিল। দৈনিক পদ্ধতি অনুসাবে এই সময় বিরিঞ্চিবাবা হঠাৎ তুরীয় অবস্থাপ্রাপ্ত হইলেন। তিনি চক্ষু বুঁজিয়া কাঠ হইয়া বসিয়া রহিলেন, কেবল তাঁর ঠোঁট দুটি ঈষৎ নড়িতে লাগিল। মামাবাবু, চেলা-মহারাজ এবং দুইজন ভক্ত বাবার শ্রীবপু চ্যাংদোলা করিয়া সাধনকক্ষে লইয়া। গেলেন। সভা আজকার মত ভঙ্গ হইল। ভক্তগণ ক্রমশ বিদায় হইতে লাগিলেন।
৩৭