পাতা:কবিতাসংগ্রহ ৩ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যত দূরে যাই তত কাছে আসো তুমি
পথ ও পাথেয় জুড়ে কীভাবে যে
ছড়িয়ে দিয়েছ চূর্ণ মনীষার আলো ও প্রচ্ছায়া
কখনও কৌতুক আর কখনও বিষাদ
ঢেকে দেয় এতসব গূঢ় যাতায়াত প্রতিদিন
নদী থেকে আকাশ অবধি কেন রেখে গেছ
অবাধ অগাধ ভেনিসের গাঢ় জলপথ
সে-কথা তুমিই জানো শুধু

রাত॥ ১০-২৫॥ তদেব


এখন রাক্ষসবেলা। সব মিথ্যা
সত্য গিলে খাবে
এখন পিশাচঋতু। যত অন্ধজন
পথে-পথে নাচবে তাথৈ
এখন দানবপ্রহর। নুলো ও খোঁড়ারা
ধাপে-ধাপে শিখরে চড়বেই
এখন ডাইনি-পূর্ণিমা। কবি-পুরোহিত
ভাষ্য লিখবে পরিবর্তনের
এখন মিছিল পিশাচের গান-গানে ভরেছে নিখিল
এখন দোহার রাক্ষসেরা ওস্তাদের মারে
এখন আপথে পথ হবে
এখন আঘাটে ঘাট হবে
এখন আমানুষ মানুষ হবে
এখন পুত্রবতী হবে বন্ধ্যারা
এখন ডাইনি-পূর্ণিমা। ভাড়াটে নকিব
নান্দী গাইছে দানবের
সব মিথ্যা সত্য গিলে খাবে। এখন রাক্ষসবেলা
সব পথরেখা মুছে যাবে তাথৈ তাথৈ নাচে
ঘাসে ঘাসে লেখো, লিখে যাও
নতুন গরল-কথা

রাত॥ ১০-৫০॥ তদেব

৩৯