পাতা:কবিতাসংগ্রহ ৩ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৪

সমর্পণ শেখোনি কখনও, এই কথা
নদী বলে যায়
আহত বিক্ষোভে আকাশের শুনে যাওয়া
আর মনে মনে বলা:
কী করে বোঝাব তুমি সেই মুর্শেদ ধন হে
যত দূরে তত কাছে
সমর্পণে বড়ো বেশি একা হয়ে যাই
যত পূর্ণ তত
যেতে যেতে চিনে নিই পথ, পথের আড়াল
চিনি আর ফিরে যাই
ভাঁটি ও উজান জুড়ে সেই একই নদীর গভীরে
তবু নদী শোনে না কিছুই
প্রতিধ্বনি বলে: সমর্পণ শেখোনি কখনও

সকাল ৭-১০॥ ৫.১২.১০॥ বিশ্ববিদ্যালয় আবাসন


১৫

কোথাও যাওয়ার কথা নেই, শুধু আছে
অন্তহীন প্রতিশ্রুতিগুলি
সব কিছু ঝরে গেছে হয়তো কৌতুকে কিংবা
শান্ত হাহাকার নিয়ে
নিদ্রাতুর দিনে কেন এত মন্থরতা
পুরোনো স্মৃতির ব্যবহারবিধি
নিয়ে এত প্রহেলিকা কেন প্রতিটি সন্ধ্যায়
এর চেয়ে ভালো রোজ
প্রতিশ্রুতি নিয়ে সভা ও সমিতি করা আর
যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে
দু’মিনিট নীরবতা পালনের তুমুল প্রস্তুতি

দুপুর ১-১০॥ ৫.১২.১০॥ সুক্রতু

৫২