বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কবিতা-কুসুমাঞ্জলি (প্রথম খণ্ড) - দ্বারকানাথ বিদ্যারত্ন.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ه /وا ) হইলে মনুষ্য-মাত্ৰ কদাকার হয় ; রোগী পুরুষ হইলে তাহাকে কেহ কন্যা সম্প্রদান করিতে চাহেন না, স্ত্রী হইলে স্বামীর মনঃকষ্ট এবং দেখিতে কুৎসিতা হয়, বালিকা হইলে বহুকষ্টে বর যোজনা করিতে হয় ; অতএব তাহার ঔষধ বর্ণনা করিতেছি, যথা ১। তেলাকুচা লতা গাছের পাতার রস ২ তোলা,খাটী সর্ষপ তৈল ২ তোলা, কপূর ১০ রতি একত্র মর্দন ও সূৰ্য্যাপক হইলে চুল কাটিয়া মস্তকোপরি ইহা নিত্য মর্দন করিতে করিতে ক্ৰমে কীট মরিয়া কেশোদগম হইতে থাকে। ২ । তুতেকে গজ পুটে অর্থাৎ উভয় খুরির মধ্যগত করিয়া সেই খুরিদ্বয়কে কাদা ও বস্ত্ৰ ফালি দ্বারা আবদ্ধ-পূর্বক রৌদ্রে দিবে, পরে কাদা শুষ্ক হইলে ঘুটীিয়ার পোরে পোড়াইয়া তুতেকে ভস্ম প্ৰস্তুত করিবে। এই ছাই ১ তোলা, নারিকেল তৈল ১০ দশ তোলাতে যোগ করিয়া কিঞ্চিৎ অগ্নিপক করিয়া শিশি মধ্যে স্থাপন ও নিত্য মস্তকে মর্দন করিতে করিতে কেশকীট মরিয়া পুনর্বার কেশ বহির্গত হইতে থাকে। ৩। কেশরাজ ( কেঁশুত্বে ) নামক ছোট গাছ যথাতথা দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার রস মস্তকে মালিশ করিতে করিতে ক্ৰমে কেশকীট ধ্বংস হইয়া কেশোদ গম হইতে থাকে, এবং টাক দোষ নিবৃত্তি হয়। টাকে অর্কক্ষীর দুষ্মরোগ্য টাক পোকা হইলে লবণ সহ আকন্দ কাটা মস্তকের টাক স্থানে যে দিন দিবেন, সেই দিনেই চলিকন, সুড়সুড়ি করা ইত্যাদি যাতনা হইতে অব্যাহতি পাইবেন। এইরূপে ৪ । ৫ দিন প্রদত্ত হইলেই ইন্দ্রলুপ্ত কীট মরিয়া যায়, সঙ্গে সঙ্গে যাতনা নিবারণ হইয়া কেশোদগম হইতে থাকে। প্রিয়। পাঠক ! “শুরু পোদে আন্দর আটা” এক প্ৰাচীন বাক্য জনশ্রুতি আছে বলিয়া ক্ষত হইবার ভয়ে ভীত হইয়া আমি স্বয়ং আমার নিজের মস্তকে আকন্দ৷ আটা লাগাইতে সাহসী হই নাই ; একদিন ঐ পোকার কামড়ে অস্থির হইয়া মস্তকে ক্ষত হয় হবে-বলিয়া পরিশেষে না হয় অশ্বথামা হইব-এই ভাবিয়া