বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কবিতা-কুসুমাঞ্জলি (প্রথম খণ্ড) - দ্বারকানাথ বিদ্যারত্ন.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कदिङ-कृष्प्रभाgनि । \) আপনি সহ কিরূপে প্রেমালাপ করিতে পারি ? এই উদ্যান ও পুরী হইতে সম্যক লোক অন্তৰ্হিত হইলে উভয়ের সুখকর প্রেমালাপ হইবে নাকি ? তাহা শুনিয়া যুবরাজ কহিলেন - তথাস্তু (তাহাই হউক ) এই বলিবা-মাত্র রাজাজ্ঞায় সম্যক লোক উদ্যান ও প্রাসাদপুরী হইতে নিঃসারিত হইল। সুন্দরী হরণের সুসজীভূত বীরগণ সহ বীরোচিত পরিচ্ছদাদি ধারণে রাজকুমার দণ্ডায়মান ছিলেন—তদষ্ট আমি কহিলাম মহারাজ ! এই কি আপনার কাম যুদ্ধের বেশ ? এই বাক্যে যুবরাজ লজ্জিত হইয়া গৃহের একদেশে ( কোণে ) তরবারি রক্ষা করিয়া রমণী সম্ভোগের পরিচ্ছদাদি পরিধান করিতেছেন, এমন সময়ে আমি হৃতা সাধবী যুবতী মহাসুযোগ বুঝিয়া ভীষণ-মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া তীব্ৰবেগে তরবারির নিকটস্থ হইয়াই অসি নিস্কোষিত পূর্বক তড়িতের ন্যায় বেগে যুবরাজের মস্তকচ্ছেদন করণান্তর উদ্যান-ভূমির প্রাচীরদি উল্লঙ্ঘন পূর্বক তটস্থ ভাবে গৃহে গমন করিয়া দৃষ্ট করিলাম ভূজগ-দষ্টপতি মহাধন্ত্রণা (ছট্‌ফটু ও ভীষণ জালা ) ভোগ করিতেছেন। তদন্দুষ্টে আমি কহিলাম,-দেব ! একি অবস্থা ঘটল ? তখন ভূজঙ্গ-দষ্ট স্বামী কহিলেন—“তোমাকে হরণ করিয়া প্ৰস্থান করিলে, এই শিশু পুত্ৰ ক্ৰোড়ে লইয়া নিকটস্থ বন জঙ্গলে অনুসন্ধান করিতে করিতে ভুজঙ্গ-দষ্ট হইয়াই তৎক্ষণাৎ শিশু সহ বহুকষ্টে ভবনে আসিয়াছি- ঐ তোমার শিশুপুত্ৰ গ্ৰহণ কর-এক্ষণে বড়ই যাতনা আর সহ্যু হয় না, প্ৰাণত্যাগ হইবেএই বলিতে বলিতে বিষে আচ্ছন্ন স্বর ভঙ্গ ও কথা নাকি সুরে হইল এবং অজ্ঞান হইয়া প্রাণত্যাগ করিলেন, তদৃষ্টি আমি শেষ রাজনি জানিবা মৃত স্বামী ও শিশু পুত্রকে রক্ষা করতঃ প্ৰস্থান করিলাম। আমি নৃপহাস্ত্রী হইয়া প্রাণভয়ে দশ পনের দিনের পথ গমন করিয়া এক মহানগরী প্ৰাপ্ত হইলে- তত্রস্থ ঘারাঙ্গণ আমাকে সুন্দরী ও যুবতী দেখিয়া মহাযত্ন ও সেবাদি দ্বারা বশীভূত করিলেন এবং ক্রমে ক্ৰমে বেশ্য বৃত্তিতেও নিপুণ করিলেন পরে আমি সেই ব্ৰাহ্মণ রমণী হইয়া গায়িকা, নৃত্যকী ও অতি রসিক পদবাচ্যে পরিগণিত হইয়া যথেষ্ট ধনোেপার্জনে শক্তিশালিনী হইলাম, এবং ধনাঢ্য ও বিখ্যাত বেশ্য হইয়া পরম সুখে কালাতিপাত করিতেছি-এমন সময়ে