পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা আজ তেমন বেশ জমিল নষ্ট ভাঙ্গিয়া গেল। বাড়ী ফিরিবার সময় পারুল সরযুকে বলিল, “আমার ভাগের ভাতগুলি আমাকে দেবে ভাই ?” সরষু নিজেরগুলিও পারুলের অাঁচলে ঢালিয়া দিল। লোকে মহামূল্য রত্ন কুড়াইয়া পাইলে যেমন বক্ষের ভিতরে লুকাইয়া ফেলিতে চাহে, পারুলও সেইরূপ যত্নে গৃহস্থের পরিত্যক্ত সেই কীটভুক্ত মুষ্টিমেয় তণ্ডুলকণা বক্ষের নিকটে লুকাইয়া লইয়া বাড়ীর পথে ছুটিল। ক্ষুধাক্লান্ত রোদনশ্ৰান্ত বালক মাটীতে পড়িয়া ঘুমাইতেছিল। তরঙ্গি শূন্যনেত্রের উদাসদৃষ্টিতে দূর আকাশে চাহিয়া বসিয়া ছিল, আর মধ্যে মধ্যে মলিন বসনাঞ্চলে অশ্রুধারা মুছিয়া ফেলিতেছিল। সেই সময়ে পারুল ছুটিয়া আসিয়া হাঁপাইতে হাঁপাইতে বলিল,—“মা, আমি চারটি চাল পেয়েছি, খোকার মতও ভাত হবে না ?”-এই বলিয়া সে ব্যস্তসমস্ত হইয়া অৰ্চল’ এলাইয়া দেখে, চাল নাই । ছোড়া কাপড়ের ছেদা দিয়া সেগুলি কখন পথে পড়িয়া গিয়াছিল, সে তাহ জানিতে পারে নাই। কঁাদ কঁাদ হইয়া যেভাবে সেগুলি পাইয়াছিল তাহা বলিয়াই সে কঁাদিয়া ফেলিল । তরঙ্গিণী প্রথমে একটু হাসিল, তারপর উঠিয়া আড়ালে গিয়া কঁাদিল, কঁাদিতে কঁদিতে চারিদিক খুজিতে লাগিল, খুজিতে খুজিতে কোন দেবতার মানসিক করিয়া তুলিয়া রাখা কাগজে মোড়া একটা পয়সা দেখিতে পাইল ; দেবতার নিকট হইতে সেইটি ধার চাহিয়া লইয়া পারুলকে মুড়ি কিনিতে দিল এবং তাহারই অৰ্দ্ধেকগুলি জলে ভিজাইয়া ভাত বলিয়া ছেলেটিকে श्रi७प्रांश्चा लिंका । . দিন গেল, সন্ধ্যা আসিল; কিন্তু নূতন উপায় কিছুই আসিল না। ছেলেমেয়েদুটির পেটে ক্ষুধা থাকিলেও, মনে তাহদের ১ ভাবনা ছিল না ; তাহারা অল্পক্ষণের মধ্যেই ঘুমাইয়া পড়িল। তরঙ্গিণী বসিয়া তৈলহীন দীপের ক্ষীণ S89