পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभक्ता॥ কমলা। তুমি ত সব জানালা খুলে রাখ-তৰু ঘুম হয় না কেন ? সূৰ্য্য। গ্ৰীষ্ম ব’লে নয়, মা !-মনে কিছুর একটা ভাবনা থাকলে চোখে ঘুম আসতে চায় না। “কোনই এত ভাব, বাবা” বলিয়া, কমলা যে কয়েকটা বীজের মধ্যে সুলতা ঢালাইয়াছিল, সেইগুলিকে টানিয়া মালার সঙ্গে মিলাইয়া দিল । সুৰ্য্য। ভাবতে কারুকে হয় না, মা-ভাবনা আপনি এসে জোটে ! যার দেনা নেই, তার ভাবনা কিছু কম ; দেনার উপরে আবার যার স্নেহের কারুকে নিঃসহায় ক’রে যাবার ভয় আছে, তার ভাবনা বড় বেশী। বিয়ে দিয়ে তোমাকে শ্বশুরবাড়ী পাঠাতে পারলে আমিও নির্ভাবনায় ঘুমতে পারব। বিবাহের কথায় কমলার আনত মুখখানি আরও নত হইয়া । পড়িল। সুৰ্য্যনারায়ণ চশমা পরিয়া আবার বইখানি তুলিয়া লইলেন। কিছুক্ষণ ধরিয়া পাতার পর পাতা উলটাইয়া, বইখানিকে নামাইয়া রাখিয়া চশমাখনি খুলিতে খুলিতে বলিলেন, “হ্যা-দ্যাখ, কমলা! ঠাকুরপুত্র সেদিন হরোর সঙ্গে তােমার বের কথা পেড়েছিলেন!। স্থার না কি নিজেই একথা তঁাকে ব’লেছে।” হরকুমার তাহদের গ্রামবাসী ধনাঢ্য যুবা । তাহার পিতার সহিত সূৰ্য্যনারায়ণের বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল। হরকুমারকেও তিনি বিশেষ স্নেহ৷ করেন, সম্পত্তি বন্ধক রাখিয়া কিছু টাকাও তাহার নিকটে ধার করিয়াছেন। কমলার কিন্তু ইচ্ছা নহে, আশৈশব যাহাকে সহােদরের মত ভাবিয়া আসিয়াছে-এখনও হরদাদা’ বলিয়াই ডাকে, তাহারই গৃহিণী হয়। সুৰ্য্যনারায়ণ পুনশ্চ বলিলেন, “হরকে তুমি বিশেষ জান, আমার ব’লে দেবার মত কিছুই নেই। সে মুর্থ নয়—কৃতবিদ্য, কুৎসি ; নয়-বরং রূপ