পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ওসব ছেদো কথা রেখে দিয়ে মৎলবখানা কি খুলে বল না। যাদু " “কোন আডিডা ফেসে বেরিয়ে এসেছি, ধনমণি ! গুলীটে আরটা খেয়ে থাক ?” “তুমি কি চাও ?” হীরালাল। রাত্রির মত শুধু একটু থাকবার ঠাঁই“সদাব্রত খুঁজে নাওগে।” হীরালাল। খুজে বেড়াবার শক্তি নেই, আমি অসুস্থ। “অসুস্থের জন্যে তা হাসপাতাল খোলা রয়েছে, বাবা ! এখানে কেন ?” “সঙ্গে টাকাকড়ি কিছু আছে ?-ঠিকানা ব’লে দিচ্ছি। যাও, তোফা জামাই আদরে থাকবে এখন।” 'i সুবিধা নহে বুঝিয়া : হীরালাল ধীরে ধীরে সরিয়া পড়িল। তাহার ১। পূর্বেই শুনিতে পাইল, কেহ বলিতেছে, “শালা কোকেনথাের”,-কেত বলিতেছে, “ব্যাটা যে চোর তা’তে সন্দেহটি নেই”-কেহ বলিতেছে, “আহা আমনি অমনি ছেড়ে দেওয়াটা ঠিক হল না, দু’চার ঘা দিয়ে ছেড়ে দিলেই হ’ত।” হীরালাল আর আশ্রয়ের চেষ্টা করিল, না ; পথে চলিতে চলিতে ভাবিতে লাগিল, রিক্তহস্তে ভিখারীর বেশে অজানা সহরে আসাটা দুরদৃষ্ট নিয়ে সংসারে আসার অপেক্ষা অল্প অসুবিধার নহে। অধিক রাত্রিতে সহর-পথের এই সৰ্ব্বজনস্থলভতাও থাকিবে কি না কে জানে ? সে সহর ছাড়াইয়া বাহিরে গিয়া পড়িবার ইচ্ছায় দ্রুতপদে চলিতে লাগিল। তাহার মন উড়িয়া যাইতে চাহিলেও পা। কিন্তু যেন আর চলিতে চাহিতেছিল না। পা দুইখানি কাদায় ভারী হইয়া উঠিয়াছিল। পথের পাথরগুলা সুচিমুখ লইয়া তাহার পদতলকে বিদ্ধ, ও ক্ষতবিক্ষত করিতেছিল। هناة