পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दकाढ কমলা ধীরে ধীরে বলিল, “আমন কথা ব’লে না, দিদি। তার মত প্ৰাণ ক’জনের আছে ? আমিই মন্দভাগিনী।”-এই কথা বলিয়া একটা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিল। ২ . কৃষ্ণনাথ দেশে ফিরিবার নাম করেন না ; তিনি কাশীবাসের সঙ্কল্পিত দিন বাড়াইয়া দিয়া গোপনে গোপনে কমলার স্বামীর অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন হেমন্ত সকাল সন্ধ্যা দুই বেলাই ঘাটে ঘাটে ঘুরিয়া বেড়ায়। একদিন সে একটা ঘাটের একজন পাণ্ড আর এক ব্যক্তির নিম্নোক্ত কথাবাৰ্ত্তা শুনিতে পাইল । “বয়েস কত ?” “একুশ বাইশ বছর হবে।” “দিনে এমন কত শত সুন্দরী আসছে যাচ্ছে; আপনি কাকে খুঁজছেন তা কি ক’রে বুঝব ?” “একটু লক্ষ্য রাখলেই বুঝতে পারবে। সুন্দরী অনেক আসে বটে, তেমন বেশী আসে না। ;-দেবতার মত সুন্দরী, সৌন্দৰ্য্যে গর্ব নেই, মুখে হাসি দেখতে পাবে না, কথা শুনতে পাবে না, গায়ে গয়না থাকবে না, চাউনি মাটীর দিকে। সঙ্গিনীদের কথাবাৰ্ত্তায় যদি শুনতে পাও, তার নাম ‘কুমলা, তরে একটু সন্ধান রেখ। তঁর ঠিকানা যদি জেনে দিতে পাের, তা হ’লে আর তোমাকে পেটের ভাতের জন্যে এমন ক’রে ঘাটে বসে থাকতে হবে না।” হেমন্ত বাসাবাড়ীতে ফিরিয়া আসিয়াই কৃষ্ণনাথকে সেই সব কথা বলিল। তিনি সব শুনিয়া ব্যগ্রভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি তার নাম ধাম জানতে চাইলে না ?” من نطلاع