পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমল য়াছে। তাহার কণ্ঠদেশে নখের অ্যাচাড়ের মত কতকগুলি দাগও দেখা গিয়াছে। তাহাতেই পুলিশের সংশয়, কেত তাঁহাকে হত্যা করিয়া জলে ফেলিয়া দিয়াছে । কাত্যায়নী যেদিন সন্ধ্যারCসময়ে মোহিনীকে সমভিব্যাহারে লইয়া গৃহত্যাগ করেন, তঁাতার মনে কি সঙ্কল্প লুক্কায়িত ছিল তাহা কাহাকেও বলিয়া যান নাই । মোহিনী। কিন্তু তাহার কথার ভাবে ধারণা করিয়াছিল যে, তাহারা তীর্থে যাইবার টিকিট কিনিয়া হাবড়ার রেল-গাড়ীতে চড়িবে। গহনা ও টাকা-কড়ির লোভে কাতায়নীকে গল টিপিয়া মারিয়া জলে ফেলিয়া দেওয়ার সংশয়ে ধূত তইয়া, মোহিনী পুলিশে যে জবানবন্দি করিয়াছিল তাহাতে প্ৰকাশ যে, বাড়ী ছাড়িয়াই মোহিনী ঘোড়ার গাড়ী ভাড়া করিতে চাঙ্গিলে কাত্যায়নী জল-পথে যাইবার ইচ্ছা প্ৰকাশ করেন। গঙ্গার তীরে আসিয়া নৌকা ভাড়া করিতে চাহিলে তিনি ডাঙ্গা-পথে যাইবার সঙ্কল্প ব্যক্ত করেন। ডাঙ্গা-পথে কিছু ? দূৱ আসিয়াই তিনি মোহিনীকে বলিয়াছিলেন, “মোহিনী-তুই আমার জন্যে ঢের ক’রেছিল, আমার যথাসৰ্ব্বস্ব তোকে দিচ্ছি—তুই তাের দেশে চলে যা৷ ” মােহিনী তাহাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করিলে তিনি তাহাকে টাকা-কড়ি, গহনা ও কাপড়-সমস্ত দিয়া বলেন, “ন- মোহিনী! আজি থেকে তোর আমার ভেন্ন পথ ; তোর দেখান পথে চ’লে আমার সব গেছে। তুই তোর পথ খুজে নেগে যা-আমি, যে দিকে দু’চোখ যায়-চ’লে যাব।” মোহিনী গহনা ও টাকা-কড়ি লইয়া বিদায় হইলে পর তিনি কি করিয়াছিলেন তাহার প্রকাশ নাই। আপনার জন যতদিন জীবিত থাকে ও নিকটে থাকে। ততদিন কেহই ঠিক বুঝিতে পারে না—তাহাকে সে কতখানি ভালবাসে, চলিয়া [ २१^