পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা যামিনী হীরালালের হাত ধরিয়া তাহাকে টানিয়া তুলিল, এবং তিন জনে কথা কহিতে কহিতে হাসিতে হাসিতে চলিয়া গেল । আদুঃখসন্তিন্ন সুখ সংসারে নিতান্তই বিরল ; এখানে এমন সুখী কণহাকেও দেখা যায় না। যাহার কোন কিছু একটা দুঃখ নাই। তবে কাঙ্কারও অনেক সুখের মধ্যে সেই একটি খানি একটা দুঃখ জ্যোৎস্না-সাগরে চন্দ্রের কলঙ্ক-ছায়ার মত ডুবিয়া থাকে, কাতার ও বা সেই একটা ও একটু ই বাসিকরা ধপধপেশাদা বিছানার চাদরে কালী পড়ার দাগের মত জাগিয়া থাকে। কমলার ও একটা দুঃখ তাহার সমস্ত আনন্দ ও সমস্ত সুখকে ঢাকিয়া ফেলিতেছিল, তাঙ্গার শাশুড়ী-শ্ৰীমতী কাত্যায়নী তাহাকে দেখিতে পারেন କ{ | . R সকল ব্যাপারেরই কিছু না কিছু একটা কারণ থাকে ; তবে সকল বিষয়েরই সেটা প্ৰত্যক্ষ হয় না, কোন কোন বিষয়ের আবার অনুমান করাও দুরূহ। কাতায়নীর বধূ বিদ্বেষের কারণটাও এই শেষবিধ। মানুষের অনুমান কিন্তু দুরবঁগাঙ্গ বিষয়ের প্রতিও ধাবিত হইতে পশ্চাৎপদ হয় না। আমরাও ইহার দুইচারিটা সম্ভবপর হেতু অনুমান করিয়া বলিতে চেষ্টা করিব । সূৰ্য্যনারায়ণ কন্যার বিবাহ-পণেই সৰ্ব্বস্বান্ত হইয়াছিলেন ; সুতরাং উপঢৌকনাদিতে তিনি কাত্যায়নীর সন্তোষ সম্পাদন করিতে পারিতেন না। পিতার দরিদ্রতাও কি কন্যার দুরদৃষ্ট-তাহার দোষ নহে ? কমলা কাত্যায়নীর পুত্রবধূ। পুত্ৰবধু অন্য কোন দোষ না করিলেও কেবল পুত্রবধু বলিয়াই শ্বশ্রীর বিরাগভাগিনী হইতে পারে। 8ર }