পাতা:করিম সেখ - জলধর সেন.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। আমাদের কথা প্ৰায় শেষ হইয়াছে। তবুও দুই একটা কথা বলি । যথাসময়ে বসির সপরিবারে গোকুলপুরে পৌঁছিল। তাহদের মুখে সমস্ত কথা শুনিয়া বিপিনবাবু ও কাছারীর সকলেই বসিরের স্ত্রীর যথেষ্ট প্ৰশংসা করিতে লাগিলেন। বিপিনবাবু নিজের খরচে বসিরের বাসের জন্য রামমোহন মাকীর বাড়ীর কির্ট একখানি বাড়ী প্ৰস্তুত করিয়া দিলেন, লাঙ্গল গরু কিনিয়া দিলেন, সরকার হইতে কিছু জমি দিলেন। বসির সপরিবারে সেখানে বাস করিতে লাগিল। তাহার ছেলেটী অধরের এমন বাধ্য হইয়া পড়িল যে, অনেক সময়ে অধরের কাজকৰ্ম্ম বন্ধ হইয়া যাইত। বসিরের গোকুলপুরে আসিবার পর প্রায় তিনমাস কাটিয়া । গিয়াছে, এমন সময় একদিন বসির একজন লোকের নিকট শুনিতে । পাইল যে, গোকুলপুর হইতে দুই মাইল ভাটীতে একটা পাগল আসিয়াছে। সে নদীর তীরে দিনরাত্রি কি যেন খুজিয়া বেড়ায়। সে কাহারও সঙ্গে কথা বলে না ; গাছের পাতা ফলমূল যা পায় তাই খায়, আর নদীর তীরে ঘুরিয়া বেড়ায়। বসির তাহাকে লোকটার কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে বলিল “ভূতের মত চেহারা, মাথায় কতকগুলো চুল, ছোড়া ময়লা একখানা লেংটা পরা।” বসির বলিল “সে কি কারো সঙ্গে কথা বলে না ?” লোকটী বলিল, “কারো সঙ্গেই কথা বলে না ; নিজেই কি যেন বিড় বিড় করে ; আর মধ্যে মধ্যে ‘করিম’ বলিয়া চেচাইয়া উঠে।” : এই কথা শুনিয়া বসির আর স্থির থাকিতে পারিল না। তখনই