পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రి ఫి করুণা কহিলেন, “গোবিন্দ, করুণা ও অরুণা আমার নিকট স্বন্দের সমান । মহানায়ক অগ্নিমিত্রের পুত্র তরুণ তইলেও যুদ্ধবিদ্যায় সুপণ্ডিত, সে সিংহবিক্রম কিন্তু তাহার জীবনের মমতা নাই। করুণার জন্ত তাহাকে ফিরাইয়া আনিও । বন্ধুগণ ! আমি বৃদ্ধ হইয়াছি, বহুবার নির্বদ্ধিতার ফলে তোমাদিগকে মনঃকষ্ট দিয়াছি, তোমরা আমাকে মার্জন কর । আমি বুঝিতে পারিতেছি যে, সাম্রাজো ঘোর দিন আগত। বিষম সমর আর্য্যাবর্তকে গ্রাস করিতে আসিতেছে, যাহারা যাইতেছে তাহারা ফিরিবে কি না সন্দেহ~” ' পুনরায় সম্রাটের কণ্ঠরুদ্ধ হইল, তিনি দ্রুতপদে সৌধ তইতে নিৰ্গত হইয়া রথে আরোহণ করিলেন, রথ নগরাভিমুখে ধাবিত হইল। কুমারগুপ্ত প্রস্থান করিলে দামোদর শম্মী গোবিন্দগুপ্ত স্কন্দগুপ্ত ও ভানুমিত্রকে বাহুপাশে আবদ্ধ করিয়া অশ্রীরুদ্ধ কণ্ঠে কহিলেন, “গোবিন্দ, আমার কি হইয়াছে বুঝিতে পারিতেছি না, আজি কাহাকেও ছাড়িতে ইচ্ছা করিতেছে না। তোরা বল যে আবার পাটলিপুত্রে ফিরিয়া আসিবি ? আমাকে স্পর্শ করিয়া শপথ কর । আমার মনে হইতেছে করাল কাল ভীষণ বদনব্যাদান করিয়া আর্য্যাবৰ্ত্ত গ্রাস করিতে আসিতেছে । গোবিন্দ, কল্য পাটলিপুত্র অন্ধকার হইবে, কাঙ্গকে লইয়া রাজধানীতে বাস করিব ? তোরা বল যে আবার পাটলিপুত্রে ফিরিয়া আসিবি,—সমুদ্রগুপ্ত চন্দ্রগুপ্তের প্রাসাদ আবার তোদের হাস্তোজ্জল আস্তের আভায় বিকসিত হইয়া উঠিবে ?” রুদ্ধকাষ্ঠ মহারাজপুত্ৰ কহিলেন, “পিতৃব্য, কি করিতেছেন ?” বৃদ্ধ মহামাত্য মুখ ফিরাইয়া কছিলেন, “কি জানি কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না। স্কন্দ, গোবিন্দ, বল তোরা ফিরিয়া আসিবি ? ভানু, করুণের মুখ শুকাইয়া থাকিবে, অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলে বধু জিজ্ঞাসা করিবে পুত্র, জামাতা কতদিনে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিবে, আমি তখন কি উত্তর দিব ? স্কন্দ, তুই যে দিন ফিরিয়া আসিবি সেই দিন তোদের সঙ্গে আলার ধ্রুবস্বামিনীর প্রাসাদে