পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ : 6 న) সত্যই কি অদ্য যুদ্ধযাত্রা করিতে হইবে ?” “সে কথা সত্য ।” “তবে আর পাটলিপুত্রে ফিরিব না।” “ইন্দ্রপালিত তুমি যুদ্ধ ব্যবসাণী, তোমার পুত্র কলত্র' নাই, কাঙ্গর জন্য ব্যাকুল হইতেছ?” “দেখ, সে যদি বলিত যে আর একবার—একবার মাত্র নগরে ফিরিয়া আসিব, তাহা হইলে হয় ত একথা ভাবিতাম না।” “ইন্দ্র ! দেশের জন্ত, ধৰ্ম্মের জন্য, দেবতার -জন্ত, রমণী ও ব্রাহ্মণের জন্য কয়জন মরিতে পারে? যে পারে সে মানুষ নতে দেবতা । সকলেই মরে, রোগশয্যায় অথবা আকস্মিক বিপৎপাতে অথবা দারুণ অভিমানে স্বহস্তে একদিন সকলেই মরে,-কিন্তু বলিতে পার কয়জন স্বেচ্ছায় পরার্থে আত্ম-বিসর্জন দিতে পারে ? শান্ত স্তও, আমরা যে যুদ্ধে যাইতেছি শক প্লাবনের পরে তেমন যুদ্ধ আর্যাবত্তে আঁর श्नं नरं । সে যুদ্ধে এই নশ্বর দেহ বিসর্জন গৌরবের কথা । চল, আমিও দৈবজ্ঞের নিকটে যাইব ।” উভয়ে জনতা ভেদ করিয়া দৈবজ্ঞের নিকটবৰ্ত্তী হইলেন। দৈবজ্ঞ আগন্তুককে দেখিয়া বলিয়া উঠিলেন, “মহাসেনাপতি, যাহা জিজ্ঞাসা করিতে আসিয়াছ, এই জনতার মধ্যে তাহার উত্তর প্রদান অসম্ভব ।” নাগরিকাগণকে দূরে সরিয়া যাইতে আদেশ করিল। জনসঙ্ঘ ভীত হইয়া দূরে পলায়ন করিল। তখন দৈবজ্ঞ মহাসেনাপতিকে কহিল, “অগ্নিগুপ্ত ! তুমি কুতন্ত্র নই, তুমি চন্দ্রগুপ্তের ঋণ পরিশোধ করিবে।” “চন্দ্রগুপ্তের ঋণ! তুমি-আপনি কি প্রকারে জানিলেন?” “মঙ্গনায়ক! পঠিতগ্রন্থ অধ্যয়ন করিতে কখন কষ্ট বোধ করিয়াছ ?” “না।” "সদৃষ্ট্রলিপি আমার নিকটে সহস্রবার অধীতগ্রন্থ। অগ্নিগুপ্ত, বৃদ্ধ সম্রাট ও বৃদ্ধ সচিবের অশ্রুজল বিস্তুত হও । স্কন্দ গুপ্ত ফিরিবে, গোবিন্দগুপ্ত ফিরিবে, কিন্তু তুমি ফিরিবে না।” “তাহাতে দুঃখ নাই ব্রাহ্মণ, বল যুদ্ধক্ষেত্রে জয়ী হইয়া মরিব মাতৃভূমি রক্ষা করিয়া মরিব –দেবতার নিকট 德