পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

དག་ o করুণা দ্বিতীয় সৈনিক কঠিল, “কিসের বিপদ ? পথে দাড়াইয় যে ব্যক্তি মহারাজাধিরাজকে গালি দিতেছিল, তাহাকে ধরিয়া আনিয়াছি, তাতাতে বিপদ কি ?” “শুনিয়াছি মহারাজাধিরাজ এক নীচজাতীয়া কন্যার রূপে মুগ্ধ হইয়া পট্টমহাদেবীকে সিংহাসনচ্যুত করিতে প্রস্তুত হইয়াছেন । এই ব্যক্তি যদি সেই কন্যার পিতা হয়, তাহা তইলে আমাদের সমূহ বিপদ ” “তবে ইহাকে মহাপ্রতিহারের নিকট না লইয়া গিয়া মঙ্গরাজকুমারের নিকট লইয়৷ যাই ।” “মহারাজকুমার এখন কোথায় ?” “তাহা ত বলিতে পারি না ।” “তবে ইহাকে কুমার হর্ষ গুপ্তের নিকট লইয়া যাই, তাঙ্গর সহিত পরামর্শ করিয়া মহারাজকুমার অথবা যুবরাজ ভট্টারকের হস্তে ইঙ্গকে সমর্পণ করিব । সেই ভাল, ইতাকে রথে করিয়া প্রাসাদে লইয়া যাই ।” উভয়ে চন্দ্রসেনকে লইয়া একখানি রথে আরোহণ করিল, এবং উষ্ণীয় দ্বারা চন্দ্রসেনের মুখ ও হস্তপদ বন্ধন করিয়া একজন তাহার দেহের উপরে উপবেশন করিল। অপর ব্যক্তি উন্মুক্ত অসিভস্তে রথচালকের পাশ্বে উপবেশন করিয়া তাহাকে প্রাসাদাভিমুথে রথ চালনা করিতে আদেশ করিল। রথচালক কোষমুক্ত অসি দেখিয়া আপত্তি করিতে ভরসা করিল না । রথ সশব্দে প্রাসাদের প্রথম তোরণে প্রবেশ করিল। দ্বিতীয় তোরণে প্রতীক্তারগণ তাহাদিগের পরিচয় জিজ্ঞাসা করিল, কিন্তু মহারাজপুত্র গোবিন্দগুপ্তের নাম শ্রবণ করিয়া সসম্মানে পথ ছাড়িয়া দিল । তৃতীয় তোরণে চালককে পারিতোষিক দিয়া বিদায় করিয়া উভয়ে চন্দ্রসেনের সহিত স্কন্দ গুপ্তের আবাসে প্রবেশ করিল।