পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミbre করুণা স্থির আমার পক্ষে অসম্ভব। গুরুদেব বলিয়াছিলেন যে, তুমি নররূপী নারায়ণ, আর্যাবৰ্ত্ত ও আর্যাধৰ্ম্ম রক্ষার জন্ত নরদেহ ধারণ করিয়াছ । তাহার আদেশে চতুভূজ বাসুদেবের পরিবর্তে তোমার অপরূপ রূপ ধ্যান করি। অন্তর্যামী বামুদেব জানেন, কাহার মূৰ্ত্তি শয়নে স্বপনে জাগরণে সদা আমার নয়নপথে বিদ্যমান।” “তবে কেন অরুণ মরি নাই ! আর একবার তোমাকে দেখিবার জন্য মরিতে পারি নাই । অরুণ প্রাসাদে চল ” “কেমন করিয়া যাইব দেবতা ?” “চল অদ্যই বিবাহ হউক ” “গুরু কি আদেশ দিবেন ?” সহকারবৃক্ষকাণ্ডের পশ্চাৎ হইতে কে বলিয়া উঠিল, “দিব, কিন্তু বিলম্ব আছে ” * দীর্ঘাকার প্রশান্তবদন সেীমামূৰ্ত্তি বৈষ্ণব সন্ন্যাসী বৃক্ষকাণ্ডের অন্তরাল হইতে সম্মুখে আসিলেন। অরুণাদেবী দূর হইতে গুরুকে প্রণাম করিলেন, যুবরাজ র্তাহার পদধূলি গ্রহণ করিলেন। সন্ন্যাসী তাঙ্গকে কহিলেন, “পুত্র, মঠে আইন্স, অদ্য আমার আতিথ্য গ্রহণ কর । আমার অনেক বক্তব্য আছে।” স্কন্দগুপ্ত কহিলেন, “প্রভু, যতক্ষণ অরুণকে দেখিতে পাই নাই, ততক্ষণ চিত্ত স্থির ছিল, কিন্তু বালাসখী ও বাগদত্ত-পত্নীকে দেখিয়া চিত্ত অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ হইয়াছে। প্রভু, অরুণাকে কি প্রাসাদে ফিরিতে অনুমতি দিবেন ?” “সময় হইলেই দিব কিন্তু এখনও বিলম্ব আছে। অরুণাদেবী তোমার বাগদত্তা পত্নী,—স্বৰ্গীয়া পরমভট্টারিক পট্টমহাদেবীর পালিতা তাহা আমি পূৰ্ব্বেই জানিতাম। অরুণা চন্দ্রসেন কর্তৃক লাঞ্ছিত হইবে জানিয়াই সেই দিন পাটলিপুত্রের প্রাসাদসীমায় পরিখাতীরে অপেক্ষা করিতেছিলাম। বলিয়াছি ত অনেক বক্তব্য আছে, মঠে আইস।” যুবরাজ চিত্ৰপুত্তলিকার স্তায় সন্ন্যাসীর পশ্চাৎ পশ্চাৎ মঠাভিমুখে চলিলেন, অরুণা ছায়ার স্তায় তাহার অমুগামিনী হইলেন । দেবালয়ের