পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙ্গাল হরিনাথ २२२ এই ভৈরববাবুর প্রতাপে বৰ্ত্তমান নদীয়া জেলার এক অংশ হইতে দুরন্ত । নীলকরদিগকে কল-কুঠি তুলিয়া প্ৰস্থান করিতে হইয়াছিল। সেই | ভৈরববাবুর কনিষ্ঠ ভ্রাতা দেবনাথ বাবু কাঙ্গাল হরিনাথের পাঁচালী গানের প্ৰশংসা শুনিয়া তঁহার গান শুনিবার জন্য কুমারখালিতে আগমন করেন। প্রসিদ্ধ পরিব্রাজক ও ধৰ্ম্মবক্তা শ্ৰীমান শিবচন্দ্ৰ বিদ্যার্ণবের পিতৃদেব ৬৮ চন্দ্রকুমার তর্কবাগীশ মহাশয় তখন জীবিত ছিলেন। তাঁহারই বাড়ীতে গানের আয়োজন হয়। আমার এখনও বেশ মনে পড়ে যে, আমরা সে দিন সন্ধ্যার পূর্বেই অনাহারে তর্কবাগীশ মহাশয়ের বাড়ীতে গান শুনিবার জন্য ধরণা দিয়া বসিয়া ছিলাম। রাত্রি আটটার পর গান আরম্ভ হইল। ইতঃপূর্বে যতদিন এই পাঁচালী গান শুনিয়াছি, সে কয় দিনই কাঙ্গাল হরিনাথ ছড়া কাটতেন এবং তর্কবাগীশ মহাশয়ের কনিষ্ঠ ভ্রাতা মদন- । মোহন ভট্টাচাৰ্য্য ও যদুনাথ গঙ্গোপাধ্যায় এই দুইজনে দাড়াইয়া গান করিতেন, দোয়ারে অন্যান্য গায়ক থাকিতেন। কিন্তু এ দিনে দেখিলাম, কাঙ্গাল পূর্বের মতন দড়া কাটিবার ভার তা লইলেনই, উপরন্তু তিনি ও মদন ভট্টাচাৰ্য্য গানের ভার লইলেন। কাঙ্গালের অসাধারণ শক্তি ছিল ; ছড়া কাটা শেষ হইবামাত্র একটুও বিশ্রাম না করিয়া, তৎক্ষণাৎ তিনি গান ধরিতে লাগিলেন। সকলে অবাক হইয়া গেল। আসরে প্রবেশ করিবার পর আখড়াই বাজনা শেষ হইলে কাঙ্গাল প্ৰথম যে গানটী গাহিয়াছিলেন তাহা আমি যেন এখনও শুনিতে পাইতেছি, সে দৃশ্য এখনও দেখিতে পাইতেছি। কাঙ্গাল গান ধরিলেন ভাব রে বীণে র্তার, মহিমা অসীম র্যার; নিগুণ ত্ৰিগুণাতীত ভব-সারাৎসার। দিয়া তব প্রতি গুণ, বাঁধ মম শ্ৰীতি-গুণ ; औडि दिनों ७१ शीन नकदाई अजांब्र।