পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RR कांठांळ शब्रिनांशं করিতে পারি নাই। আমার সাহিত্যচর্চার ব্যর্থ ইতিহাসই তাহার প্ৰমাণ । কাঙ্গাল হরিনাথের জীবনের প্রধান কথাগুলি আমি বলিয়াছি। এক্ষণে কাঙ্গালের জীবনের বিশেষ বিশেষ অংশের বিবরণ প্ৰদান করিব । সর্বাগ্ৰে কাঙ্গাল হরিনাথের সাহিত্য-সাধনার কথা বলাই কৰ্ত্তব্য ছিল ; কিন্তু আমার মনে হইয়াছে যে, “বিজয়-বসন্তের” প্ৰণেতা অপেক্ষা ফিকিরচাদের গানের জন্যই কাঙ্গাল হরিনাথ অধিকতর প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন । এই কারণেই সংবাদপত্রের সম্পাদক হরিনাথ, সাহিত্য-রখী হরিনাথ, সাধক হরিনাথ,-এ সকল কথা বলিবার পূৰ্ব্বে কাঙ্গাল ফিকিরর্চাদ হরিনাথের কথাই বলিবার প্রলোভন সংবরণ করা আমার পক্ষে অসম্ভব হইয়া পড়িয়াছে। ফিকিরর্চাদের বাউলসঙ্গীতের একটু ক্ষুদ্র ইতিহাস আছে। সামান্য ব্যাপার হইতে কেমন করিয়া বড় ব্যাপার হইয়া থাকে, ইহা তাঙ্গারই ইতিহাস । একবার গ্রীষ্মের অবকাশের সময় শ্ৰীমান অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ভায়া বাড়ীতে (কুমারখালি) আসিয়াছেন। তিনি তখন বি, এল পরীক্ষার জন্য প্ৰস্তুত হইতেছিলেন। আমি তখন স্কুলমাষ্টার। আমারও গ্রীষ্মাবকাশ। আমরা তখন বাড়ীতে আসিয়া কাঙ্গালের বড় সাধের গ্রামবার্তা প্ৰকাশিকা।” পত্রিকার সম্পাদন করি, আর অবসর সময় অমোদ আহলাদে কাটাইয়া sis এই সময়ে একদিন মধ্যাহ্বকালে গ্রীষ্মের জ্বালায় অস্থির হইয়া, গ্রামবাৰ্ত্তার ‘কাপি” লেখা পরিত্যাগ করিয়া, আমরা হাত পা ছড়াইয়া, বিশ্রাম করিতেছি। স্থান গ্রামবাৰ্ত্তার আফিস, অর্থাৎ কাঙ্গাল হরিনাথের চণ্ডীমণ্ডপের একটি কক্ষ। উপস্থিত শ্ৰীমান অক্ষয়কুমার, গ্রামবার্তার