পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

काछांवल इड्रिनॉर्थ 8७ আশ্চৰ্য্য দৃশ্য ! অনুমান ত্ৰিশ হাজার হিন্দু মুসলমান কানাইয়ের গান শুনিবার জন্য উপস্থিত হইয়াছে। একটু পরেই মাথায় লম্বা লম্বী চুলওয়ালা দশ বার জন লোক কানাইকে সঙ্গে লইয়া সেই স্থানে উপস্থিত হইল। জনসংঘের মধ্যে হিন্দুগণ “হরিবোল” এবং মুসলমানগণ “আল্লা আল্লা” ধবনি করিয়া তাহদের অভ্যর্থনা করিল। সে যে কি আনন্দ, সে যে কি উন্মাদনা, তাহা আমি ভাষায় প্রকাশ করিতে পারিব না। যাহারা গান করিতে আসিয়াছে, তাহাদিগের জন্য মাঠের মধ্যে একটি কাষ্ঠের মঞ্চ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল ; তাহারই উপর দাড়াইয়া গান না করিলে কানাইকে কেহ দেখিতে পাইবে না বুঝিয়াই মেলার কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। কানাই ও তাহার দলের লোকেরা মঞ্চের উপর আরোহণ করিল ; প্ৰত্যেকের হস্তে একখানি করিয়া খঞ্জনী, আর কোন বাদ্যযন্ত্র নাই । একটু পরেই তাহারা গান আরম্ভ করিল। এই যে ত্ৰিশ হাজার লোক, ইহারা মন্ত্রমুগ্ধের মত গান শুনিতে লাগিল। তাহারা যে কয়টা গান গাহিল, সমস্তই অনিত্যতা সম্বন্ধে। আমরা অবাক হইয়া এই দশটা লোক ও বৃদ্ধ কানাইয়ের সুরবাজি, সুরের খেলা শুনিতে লাগিলাম। ধন্য আওয়াজ । ধন্য শিক্ষা ! আমি সে গানের বর্ণনা করিতে পারিলাম না ; যুঁাহারা পাগলা কানাইয়ের গান শুনিয়াছেন, তাহারাই আমার কথা বুঝিতে পরিবেন। পাগলা কানাইয়ের গান চারিটা পৰ্য্যন্ত চলিবে, তাহার পরই ফিকিরচাদের গান আরম্ভ করিতে হইবে। সৌভাগ্যের কথা এই যে, তাহদিগকে সেই মঞ্চের উপর দাড়াইয়া গান করিতে হইবে না ; তাহা হইলে আমি ত যোগ দিতেই পারিতাম না । মেলার জন্য যে মণ্ডপ প্ৰস্তুত হইয়াছিল, সেই মণ্ডপেই ফিকিরর্চাদের গান হইবে ; সহরের সমস্ত