পাতা:কাঙ্গালের ঠাকুর - জলধর সেন.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙ্গালের ঠাকুর R» ኴዎ অনেক অনুরোধে মা বললেন, “নিতান্তই ছাড়াবিনে । তবে শোন। পথের কথা, আয় জগন্নাথ দেবের কথা তোকে আর কি বলব,—তুই তার কি-ই বা বুঝবি। প্ৰথম রথের পরদিনই আমার বেরুবার ইচ্ছা,-তখন ত আর ঠাকুরের টান নেই- তোর টান । ঠাকুর তার খুব ফল দিয়েছেন - খুব সাজা দিয়েছেন। সঙ্গে যারা ছিল, তারা সকলেই আরও দু’দিন থাকতে চাইলে । কি করি, থাকতে হোলো ; কিন্তু প্ৰাণ তখন বাড়ীর দিকে-তোর দিকে । তিন দিনের দিন সকলে মিলে বেরিয়ে পড়লাম। আমার তখন এমন হয়েছে যে, দুদিনের পথ একবেলায় আমার চলতেও আপত্তি নেই, আর সকলেরও প্ৰায় তাই । ঠাকুর বল্লেন, রও বেটী, তোর শীগগির বাড়ী যাওয়া ঘুচিয়ে দিচ্ছি। দশ দিন বেশ এলাম, এগারদিনের-দিন পথের মধ্যে আমার পেটের অসুখ হোলো । কাউকে সে কথা বললাম না ; অতি কষ্টে পথ চলতে লাগলাম। সন্ধ্যার সময় একটা চটিতে এসে আমি একেবারে অসাড় হয়ে পড়লাম। খুব ভেদ-বমি হতে লাগল। আমরা যে ঘরটায় আশ্রয় নিয়েছিলাম, আমার অবস্থা দেখে সঙ্গীরা সে ঘর ছেড়ে আর একটা ঘরে চলে গেল । তোর কাক আমার কাছে বসে থাকল। কেমন করে চটওয়াল সেই খবর পেল । আর যাবে কোথা ;- সে একেবারে একখানা লাঠি হাতে করে এসে বলল “এখনই বেরোও, নইলে মেরে তাড়িয়ে দেব” । ঠাকুরপো কত মিনতি করতে লাগল, বেশী পয়সা,