তাহার সম্বন্ধে অতি সংক্ষেপে দুই চারিটি কথা বলিয়াছি। এই প্ৰস্তাবে আমি ‘ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ’ হইতে দেখাইব যে, কাঙ্গাল হরিনাথ জাতিভেদ সম্বন্ধে কি মত পোষণ করিতেন । কিন্তু প্ৰস্তাব আরম্ভ করিবার পূর্বেই কাঙ্গাল হরিনাথের রচিত একটী গান আমি তুলিয়া দিতে চাই। আমি পূর্বেও বলিয়াছি, এখনও তছি যে, আমি কাঙ্গালের গানের মধ্যেই তাঁহাকে সম্পূর্ণভাবে ধরিতে পাই। যে তত্ত্বের মীমাংসার জন্যই কাঙ্গালের মুখের দিকে চাই, সেই কথাই তাহার গানের মধ্যে পাই, সেই কথার মীমাংসাই তিনি তঁহার গানের ভিতর দিয়া করিয়াছেন ; আর সেই সঙ্গে সঙ্গে সেই মহাত্মার অতুল জ্ঞান, অপাের ভক্তির পরিচয় পাইয়া বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইয়া যাই। এখন সুধু মনে হয়, এমন অমূল্য রত্নের খনি হাতের কাছে পাইয়াও অন্ধ আমি, কিছুই সংগ্ৰহ করিয়া রাখিতে পারি নাই। যখন তিনি বাঁচিয়া ছিলেন, যখন র্তাহার পবিত্র সাহচৰ্য্য লাভ করিয়া কৃতাৰ্থ হইয়াছি, তখন কত বাজে কথা জিজ্ঞাসা করিয়াছি, কিন্তু একদিনও কোন কাজের কথা জিজ্ঞাসা করি নাই, একদিনও তঁহার পদপ্রান্তে বসিয়া গভীর তত্ত্ব-কথার উপদেশ গ্ৰহণ করি নাই। তঁহাকে ব্যাকরণের কথা জিজ্ঞাসা করিয়াছি, ভাষার কথা জিজ্ঞাসা করিয়াছি, লেখার সম্বন্ধে তঁাহার নিকট হইতে উপদেশ লইয়াছি; কিন্তু যে সমস্ত অমূল্য তত্ত্ব র্তাহার হৃদয়ের মধ্যে নিহিত ছিল, যে সকল ভাবের আভাস তিনি তঁহার গানে দিয়া যাইতেন, তাহার নিগুঢ় মৰ্ম্ম জানিবার জন্য কোন দিন তীহাকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা DBDBBD DBDD DBBB BBDBD SDD DDB BBDB BD DS DBDDBDB সদাব্রতের দ্বার ত সকলের জন্যই মুক্ত ছিল ; কিন্তু আমরা তখন সে দ্বারের সম্মুখে হাত পাতিয়া দাড়াই নাই, সে দেবালয় হইতে প্ৰসাদ গ্ৰহণ করি নাই। তাই এখন তাহার কথা বলিতে বসিয়া তাহার ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ, bፖ8
