পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না করিয়া থাকিতে পারিলাম না। গানটি উপরি-উদ্ধৃত গানটির অপেক্ষা অধিক সরল। গানটি এই— “সবে হচ্চে পাের, যাচ্চে এক খেয়ায়। এ কি চমৎকার, কেহ কার ছোয়া পানি নাহি খায়। ১। এক খেয়ারি তুলিয়ে নৌকায়, সকল জেতের পারে লয়ে যায় ; এক আকার সবাকার, তবু জাতবিচার দেখায়। ২। এক নদীতে হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান আদি করছে জলপান ; সেই জল তুলে, কেউ চুলে, অমনি ঢেলে ফেলে দেয়। ৩ । এক বাতাসে সবাই করছে বাস, সেই বাতাস আবার নিঃশ্বাস প্রশ্বাস ; তবু বিশ্বাস নাই, এক সবাই, অবিশ্বাস কথায় কথায় । ৪। এক সুৰ্য্যের আলোক পায় সবাই, আধার নষ্ট এক চাদের জ্যোৎস্নায়; তবু অসম্ভব, ভিন্ন ভাব, প্ৰেমভাব নাই দুনিয়ায়। ৫ । কাঙ্গাল বলিছে, সকলেই সমান, সবে মুখে বলেন। কাজে না দেখান ; বিনে তত্ত্বজ্ঞান, ব্ৰহ্মজ্ঞান, ভেদজ্ঞান কভু না যায়। এই দুইটি গানেই কাঙ্গালের মনের কথা সকলেই বুঝিতে পারিয়াছেন। এক্ষণে “ব্ৰহ্মাণ্ডবেদে’ কাঙ্গাল হরিনাথ জাতিভেদ সম্বন্ধে কি বলিয়াছেন, তাহার সার মৰ্ম্ম আমরা পাঠকগণের গোচর করিব। কাঙ্গাল হরিনাথ বলিয়াছেন- . লোকে যে জীবিকা নিৰ্বাহাৰ্থ নানা প্রকার কাৰ্য্য করিয়া থাকে, সেই কাৰ্য্যবিশেষকে উচ্চ ও নীচ মনে করিয়া লোকে লোকদিগকে উচ্চ ও নীচ মনে করে। বাস্তবিক ধৰ্ম্ম ও সত্য রক্ষা পূর্বক মনুষ্য যে কোন উপায়ে জীবিকা নিৰ্বাহ করুক, ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ বা ঐশ্বরিক নিয়ম অনুসারে bダや