পাতা:কাব্য-দর্পণ.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ৭২ কাব্যদর্পণ । [ ৬ষ্ঠ পরিঃ অংশটা পুনৰুদ্দীপ্তত দোষে দূষিত। অঙ্গির অর্থাৎ কাব্যোক্ত প্রধান ব্যক্তির অননুসন্ধান ঘটিলে প্রধানমুসন্ধান নামক দোষ হয়। উদাহরণ যথা—রত্নাবলীর চতুর্থাঙ্কে বাত্রব্য নামক কণ্ডুকীর আগমনে সাগরিকার অনুসন্ধান ছিল না, এজন্য তথায় প্রধানাচুসন্ধান নামে দেয হইয়াছে। রসের অনুপকারক বিষয়ের কীৰ্ত্তন করিলে অনঙ্গকীৰ্ত্তন নামে দেশষ হয়, এবং প্রধান বিষয়ের কোন একটা অঙ্গের অতিবিস্তৃত বর্ণন করিলে অঙ্গীতিবিস্তৃতি নামে দোষ ঘটে। অথ প্রকৃতির বিপর্যায়। ২৫৮। দিব্য, আদিব্য ও দিব্যাদিব্য ভেদে নায়ক তিন প্রকার ; তন্মধ্যে দেৰ, অসুর, যক্ষ, গন্ধৰ্ব্ব ও রাক্ষস প্রভূতিকে দিব্যনায়ক ; মনুষ্যগণকে আদিব্য নায়ক এবং রসপরিচ্ছেদোক্ত ভীম সেনাদিকে দিব্যাদিব্য নায়ক বলা যায়। ইহাদিগের আর একটা নাম প্রকৃতি এবং এই সকল নায়কের মধ্যে যাহার যেরূপ স্বভাব তাহার অন্যথা বর্ণন করিলেই প্রকৃতিবিপর্য্যয় নামক দোষ হইয়। থাকে। যে যে প্রকৃতির যেরূপ বর্ণন করা উচিত তাহা নিম্নে প্রকটিত হইতেছে। ২৫৯ ৷ অদিব্য নায়কের মধ্যে যাহারা উত্তম নায়ক তাহাদিগের ন্যায় দিব্য নায়কগণের রতি