পাতা:কাব্য-দর্পণ.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ৭৩ কাব্যদর্পণ ! { ৬ষ্ঠ পরিঃ অলঙ্কার দোষের অপ্রামাণ্য যথা ২৬৯ । কবিতার তিন পাদে যমক থাকিলে যমক দোষ না বলিয়া, অপ্রযুক্ততা নামে দোষের উল্লেখ করা যাইতে পারে। অনুপ্রাস স্থলে অনুপ্রাস দোষ না বলিয়া পতৎপ্রকর্ষত বা প্রতিকূলবর্ণত প্রভৃতি দোষদ্বারা বক্ত। চরিতার্থ হইতে পারেন। উপমার সাধারণ ধর্মের আধিক্য বা নূ্যনত হইলে অধিকপদত্ব বা নূ্যনপদত বলিলেই যথেষ্ট । উপমাদিস্থলে লিঙ্গ বচনাদি গত কোন দোষ ঘটিলে, ভগ্নপ্রক্রমতা বলিলেই যথেষ্ট হইল । উপমার সাদৃশ্যের তারতম্য ঘটিলে, অম্বচিতাৰ্থত্ব নামে দোষ হয় । সমাসোক্তিস্থলে সাধারণ বিশেষণদ্বারা অন্যার্থের প্রতীতি হইলেও যে শব্দান্তরদ্বারা তাহার পুনৰুপাদান তাহাকে পুনৰুক্ত দোষ বলিলে আর কিছুই বলিতে হয় না । এইরূপ অপ্রস্তুত প্রশংসা নামক অলঙ্কারে ব্যঞ্জনাৰ্দ্ধারণ প্রস্তুতার্থের অবগতি হইলেও যদি কেহ অন্যশব্দদ্বারা তাহার উল্লেখ করেন, তাহা হইলে সেখানেও পুনৰুক্ত দোষ হইবে। অথ ছন্দোদোষ । ২৭০। কবিতার মধ্যে লঘু, গুরু, ও বর্ণপ্রভৃতির অন্যথা ঘটিলেই ছন্দোদোষ হইয়া থাকে। অধিকাক্ষর, মূনাক্ষর, যতিভঙ্গ, ও মাত্রাপাত এই চারি প্রকারে ছন্দোদোষ বিভক্ত ।