পাতা:কাম-সূত্রম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ፉbሙ কাম-সূত্ৰম্। অপর কৰ্ম্মে যে পদাদি পরিবর্তন—তাহার নাম উহ। যথা—“শুদ্ধস্তাং পিতর" এই শাস্ত্রীয় মন্ধের “শুন্ধস্তাং মাতামহাঃ”-এরূপে উহ হইবে “পিতার’ স্থলে “astazio ga okoće অস্তি জ্যোতিষমিতি পুণাহেষু কৰ্ম্ম কুৰ্বতে ॥ ৯ ৷৷ অনুবাদ । জ্যোতিষশাস্ত্ৰ আছে বলিয়া ( জ্যোতিষশাস্ত্রে অনভিজ্ঞগণ ও ) { শুভ দিনে কৰ্ম্ম করিয়া থাকে ৷ ৯ ৷৷ ব্যাখ্যা । কিরূপ তিথি নক্ষত্ৰে কৰ্ম্ম করিলে, কিরূপ দোষ হয় এব” কিরূপ তিথি নক্ষত্ৰে কৰ্ম্ম করিলে শুভ হয - এই সকল তথ্য জ্যোতিষ শাস্ত্ৰে আছে । তিথি নক্ষত্ৰ গণনা ও জ্যোতিষ শাস্ত্ৰে আছে,-শাস্ত্ৰজ্ঞগণ তিথ্যাদিগণনাও প্রতিদিন নিৰ্দ্ধারণ করিতে সমর্থ ; সাধারণে তাহ পারে না, কিন্তু আজি “নবনের দিন৷” এই শুভ দিন প্রচার শাস্ত্রজ্ঞের মুখ হইতে হয বটে, তাহার পর লোকমুখে প্রচারিত হইলে সৰ্ব্বজনেই তাহাতে নবান্নভোজনে প্ৰবৃত্ত হয়। এই দুইটি ধৰ্ম্ম্য উদাহরণ এবং পরবর্তী দুইটি লৌকিক উদাহরণে সুত্ৰকার স্বীয় মত বিরত করিয়াছেন। তাছার মত এই যে,--শ্ৰী- জাতির প্রয়োগ জ্ঞান আছে,-ব্যাকরণ জ্ঞানহীনের পক্ষে গতানুগতিক ভাবে উহ করার ন্যায় বা জ্যোতিষ শাস্তুে অনভিঞ্জের পক্ষে গতানুগতিক ভাবে শুভদিন ব্যবহারের ন্যায়। কিন্তু তাহার মূল ঐ ব্যাকরণ এবং ঐ জ্যোতিষ } • স্ত্রীজাতির প্রয়োগজ্ঞানের মূলেও এই কামশাস্ত্ৰই বৰ্ত্তমান। দুই চারজন ও যদি শাস্ত্ৰ শিক্ষা না করে-- তাহা হইলে এই প্রয়োগ ও কালে বিপৰ্য্যস্ত হইয়া যাইতে পারে। ব্যাকরণের অধ্যয়ন অধ্যাপনা বিলুপ্ত হইলে,—প্রচলিত উচ্চ ও বিকৃত ভােব ধারণ করে। বেদশিক্ষার অভাবে বাঙ্গালায় মন্ত্র বিকৃতি হইয়াছে। শ্রাদ্ধে একটি মন্ত্র আছে—“অমীমদন্তু পিতরঃ”--অর্থজ্ঞান না থাকায় এক মহামহোপাধ্যায়ের প্রকাশিত পুস্তকে “অমীমদন্তঃ” এই পাঠ হয়-—‘অমী অদস শব্দের প্রথম বহু বচনে সিদ্ধ হয়- তাহ,-“পিতরঃ”ইহার বিশেষণ, কাজেষ্ট ‘মদন্তঃ’ ‘আহলাদযুক্তাঃ” এই সবিসর্গ পাঠই শুদ্ধ বলিয়া স্থিরীকৃত