বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে কঠিন রোগের অব্যর্থ ওষুধ আছে। কাল একবার তার কাছে যাব। তাকে যদি একবার নরুকে দেখাতে পারি—দেখি একবার চেষ্টা করে।” কাত্যায়নীর চারিপাশ্বে নিরাশার অন্ধকার একেবারে কালে হইয়া উঠিয়া ছিল, স্বামীর কথায় তাহারই ভিতর যেন একটু আলো চিক্‌মিক্‌ করিয়া উঠিল। তিনি তাড়াতাড়ি বলিলেন, “হা, তা হ’লে কালই একবার তাকে নিয়ে এস। অত বড় রাজার যখন তিনি কবিরাজ তখন নিশ্চয়ই তিনি মস্ত জ্ঞানী লোকই হবেন।” দেবেনবাবু মাথাটা নাড়িয়া বলিলেন, “হওয়াই সম্ভব। তবে তিনি আসবেন কিনা বলতে পারিনি। দেখি কি হয়।” কাত্যায়নী কোন উত্তর দিলেন না, দেবেনবাবু একটুখানি চুপ করিয়া বসিয়া থাকিয়া উঠিয় দাড়াইলেন। তিনি ধীরে ধীরে গৃহ হইতে বাহির হইয়া যাইতেছিলেন, দরজার নিকট যাইয়৷ ফিরিলেন, পত্নীর মুখের দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “নরুকে ওসুধ একদাগ খাইয়ে দেওয়া হয়েচে ?” কাত্যায়নী ঘাড় নাড়িয়া উত্তর দিলেন, “ই ।” দেবেনবাবু আর কোন কথা কহিলেন না । তিনি পুত্রের মুখের দিকে কিছুক্ষণ চাহিয়া থাকিয়, একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়৷ ধীরে ধীরে গৃহ হইতে বাহির হইয়া গেলেন। নরেন্দ্রনাথ চক্ষু মুদিয়া গুইয়া ছিল, দরজা খোলার শব্দে চক্ষু মেলিয়া চাহিল। কালো আকাশের তারাগুলি করুণ বিগলিত চখের জলের মত, তাহার চক্ষের সম্মুখে জল জল করিয়া উঠিল । সে [ ه ه ]