পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেন ? তুমিই বল দেখি, আমাকে পেয়ে কি একদিনের তরেও সুখী হয়েছ ? আমি সোহাগ জানিনে, আদর জানিনে, ধরুতে গেলে কিছুই জানিনে। তোমাদের এই বয়সে কত সাধ, কত কামনা, কিন্তু তার একটিও কি আমাকে দিয়ে পূর্ণ হয় ? আমি যেন তোমার স্বামী নয়, শুধু তার ছায়া । কমলার চোখ দিয়া জল পড়িতে লাগিল । সব কথা সে ভাল বুঝিতেও পারিল না। একটা কথা তাহার অন্তরের ভিতর হইতে এতক্ষণ ধরিয়া বাহির হইবার নিমিত্ত ছটফট করিতেছিল ; সেটাকে যেন বলপূর্বক একটা বায়ুহীন কক্ষে আবদ্ধ করিয়া রাখা হইয়াছে, বিষম পীড়াপীড়ি করিয়া এইবার বাহির হইয়া পড়িল । কম্পিত্যকণ্ঠে কমলা জিজ্ঞাসা করিল, আমাকে কি তুমি দেখতে পার না ? সে কথা আর একদিন বলব। না বল—কিন্তু আমাকে বিয়ে ক’রে কি তুমি সুখী হও নি ? কি জানি, হয়ত না ! অন্য কাকেও বিয়ে করলে কি সুখী হতে ? তাও ত ঠিক বলতে পারি নে। শুনিয়া কমলার সর্বাঙ্গ জ্বালা করিয়া উঠিল । এই সময় একজন দাসী বাহির হইতে বলিল, দিদিমণি, মার বড় জ্বর হয়েছে-তোমাকে ডাক্‌চেন্ন। ... . কমলা চক্ষু মুছিয়া বাহির হইয়া গেল। ,' - 6 গৃহিণীর সে জ্বর আর সারিল না। পািনর দিবসমাত্র ভুগিয়া, সকলকে কাদাইয়া প্ৰাণত্যাগ করিলেন। পত্নীশোক প্ৰিয়বাবুর বড় বাজিল। এই বৃদ্ধ বয়সে তিনিও বুঝিলেন। তঁহাকেও অধিক দিন পৃথিবীতে থাকিতে হইবে না। এইবার কমলার অনেক কাজ পড়িল ; নিজের সুখ চিন্তা ব্যতীত পৃথিবীতে অনেক কিছু করিতে হয়। বৃদ্ধ পিতা, ক্রমশঃ অপটু হইয়া আসিতেছেন, কািনলা সৰ্ব্বদাই পিতার দিকটা থাকিলোগিলাthামান্ন ক্লিীনাথ ? সে সৃষ্টিছাড়া