পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু৩১ w, কাশীনাথ বেশ, সময় ছিল না ব’লে যেন আসতে পারে না, কিন্তু আমি নিজে গিয়ে যখন টাকা চাইলাম, তখন বললে যে মালিকের হুকুম ছাড়া দিতে পারি না । কমলা মধুরতার হাসিয়া বলিল, কত টাকা চেয়েছিলে ? | नि८व्) न ? না। তুমি আমায় টাকা দিতে কি নিষেধ করেছ ? হঁ, যা তা ক’রে টাকাগুলো উড়িয়ে দিতে আমার ইচ্ছা নাই । কাশীনাথ-পাথরের কাশীনাথ হইলেও মৰ্ম্মে পীড়া পাইল । এরূপ ব্যবহার বা এরূপ কথা সে পূর্বে আর শুনে নাই। বড় ক্ষুব্ধ হইয়া কহিল, আমাকে দেওয়া কি উড়িয়ে দেওয়া ? যেমন করেই হোক, নষ্ট করার নামই উড়িয়ে দেওয়া । ४८म्राचीन नम्र कझांद्र मांभ मछे कब्र नध। কিসের প্রয়োজন ? একজনকে দিতে হবে । দিতে তা হবে, কিন্তু পাবে’ কোথায় ? নিজের থাকে ত দাও গে-আমি বারণ করুব না। কাশীনাথ চুপ করিয়া রহিল, কথাটা তাহার কানে অগ্নিশালাকার মত প্ৰবেশ করিল। বাহিরে আসিয়া সে আপনার ঘড়ী, আংটী প্ৰভৃতি বিক্রয় করিয়া পাঁচ শত টাকা বৈদ্যুনাথে পাঠাইয়া দিল। নীচে একস্থানে লিখিয়া দিল, আর কিছু চাস নে বোন, আমার আর কিছুই নেই। সেই দিন হইতে কাশীনাথ আর ভিতরে প্রবেশ করে না ; কমলাও কোনও খোজ লয় না। এমনই দিন কতক গত হইবার পর একদিন একটা ভূত্য আসিয়া কহিল, আপনার কাছে একজন ব্ৰাহ্মণ আসতে চান । পরীক্ষণেই কাশীনাথ বিস্মিত হইয়া দেখিল, একজন বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ হাতে পৈতা জড়াইয়া নিকটে আসিয়া দাড়াইল। কহিল, আপনি মহৎ ব্যক্তি, ব্ৰাহ্মণকে সর্বস্বাস্ত করবেন না। 警