দেখছি উণ্টে বুঝে মরি! শুনেছ অবিশ্যি দিদির বিয়েও ভেঙ্গে গেছে?”
“না। ভাঙ্গলো কেন?
“তাত জানিনে। তাঁরা ত আর আমাদের কাছে কিছু প্রকাশ করেন না। বাইরে বাইরে অমনি শুনছি যে হবে না নাকি! বোধ করি রমানাথই ভেঙ্গেছে, কেননা দিদির শুনেছি ইচ্ছা ছিল। লোকটার যাহক গুণপণা আছে—নইলে দিদি পর্য্যন্ত ভোলে?”
আমি একটু স্তম্ভিত হইয়া পড়িলাম,—একটা অনুতাপ গ্লানি হৃদয়ে বহিয়া গেল! এ বিবাহে তিনি অসম্মত হইলেন কেন? আমি কি তাহাতে লিপ্ত!
চঞ্চল বলিল—"কি ভাবছ?”
আমি বলিলাম—“তোমার দিদি কি সত্যি তাঁকে ভালবেসেছিলেন; আমার তাঁর জন্যে বড় মায়া করছে, সাধ্য থাকলে কোন রকমে বিয়েটা ঘটাতুম।”
“তোমাকে কে মায়া করে ঠিক নেই—তুমি মায়া করছ দিদিকে! আমি ত তার বড় একটা দরকার দেখছিনে। আত্মাদর দিদির যথেষ্ট আছে—নিজের মূল্য সে বেশ বোঝে, কেনই বা না বুঝবে? রূপ গুণের কিছু কসুর নেই, তার উপর টাকা। যে বিয়ে করবে, রাজকন্যা ও অর্দ্ধেক রাজত্ব এক সঙ্গে পাবে। কত লোক তার জন্য হা হুতাশ করে মরছে তার ত ঠিকই নেই। যদি দুঃখ করতে হয় তাদেরই জন্য বরঞ্চ কর। দিদির যদি সামান্য একটুকু আঁচর লেগে থাকে ত এতদিনে তার দাগ বেশ মিলিয়ে পড়েছে।”