পাতা:কিরণ মালা (নবীন কালী দেবী).pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, কিরণ মালা ।

এই বলিয়। পথিক গললগ্নবাসে সন্ন্যাসীকে প্রণাম করিলেন, কহিলেন,—“তবে আর বিলম্ব করিব না।” সন্ন্যাসী কহিলেন —“আবশ্যক নাই।” পাঠিক ! এখন এব্যক্তি কে জানিতে ইচ্ছা করেন ত বলিতেছি, ইনি সন্ন্যাসীর কনিষ্ঠ ভ্রাতা, নাম বসন্তকুমার, অল্প বয়সে পিতৃমাতৃবিয়োগ হওয়াতে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার (সন্ন্যাসীর) অতিশয় প্রিয়পাত্র ছিলেন, পূৰ্ব্বে লেখা পড়ায় যত্ব ছিল বলিয়া সকলেই প্রশংসা করিত, এই জন্য উহার কিছু আত্মাভিমান হইয়াছিল, আর উহার এক জন দুশ্চরিত্র সমবয়স্য ছিল, সে বসন্তকুমারের প্রশংসায় ঈর্ষান্বিত হইয়া, যাহাতে শীঘ্র উৎসন্ন যায় এরূপ পরামর্শ দিয়া নিজের দক্ষিণ হস্ত করিয়া তুলিল, ক্রমে বসন্তকুমার বাবু হইয়া উঠিলেন, মাদক সেবনে সম্পূর্ণ পটুতার পরিচয় দিতে লাগিলেন, নিজাংশের সমস্ত অর্থ কুকার্য্যে ব্যয় করিয়া, শেষে ভ্রাতার অর্থও নষ্ট করিতে লাগিলেন, পরিশেষে মাতৃতুল্য ভ্রাতৃজায়া সাবিত্রীর নামে মিথ্যা দোষারোপ করিয়া, তাহাকে গৃহত্যাগিনী করাইলেন। নিৰ্ব্বোধেরা যখন প্রথম সুখাস্বাদন করে, তখন ভবিষ্যৎ স্মরণ করে না—সুখের অন্ত নাই ভাবিয়া অনায়াসে মহৎ মহৎ কুকার্য্যে প্রবৃত্ত হয়, যৌবনাবস্থায় ইন্দ্রিয় মুখে মত্ত হইয়া অন্ধের ন্যায়, কুপথে গমন করত নিজ অমঙ্গল আহবান করে । সেই বসন্তু এখন সৰ্ব্বদা সস্তাপিত, না হইবে কেন ?