বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরস্বতীর কৃপা ভিখারীকেও এক মুঠা না দিলে চলে না। ছেলে পাঠশালায় পড়ে, মাসে মাসে চারি আনা বেতন দিতে হয়। এই সম্মুখে সরস্বতী পূজা; স্কুলের মাষ্টার সব ছেলের কাছে চাঁদা আদায় করিয়া সরস্বতী পূজা করিবেন ; অখিলকে আট আনা দিতে বলিয়াছেন ; আট আন না হউক, চারি আনা পয়সা দিতেই হইবে। গরিব ভদ্ৰগৃহস্থের কত খরচ-নয়টি টাকায় কি চলে ? অখিলের মা এই সকল কথা ভাবিতে লাগিলেন । মাতাকে চুপ করিয়া থাকিতে দেখিয়া অখিল বলিল, “মা, পিসি-মা ত একবেলাই খান ; তা এখন থেকে আমরাও না হয় একবেলা খাব ; তা হলে যে খরচ বঁাচবে, তাতে স্কুলের মাইনে হবে না ? বই না। কিনলেও চলবে, আমি এর ওর বাড়ী গিয়ে তাদের বই দেখে পড়ে আসব।” অভাগিনী মাতা আর অশ্রত্নসংবরণ করিতে পারিলেন না । তাহার দশ বৎসর বয়সের কচি ছেলে একবেলা উপবাস করিতে চায়। এ যে শক্তি-শেলের আঘাত অপেক্ষাও অধিক । মাতা নয়নজল সংবরণ করিতে পারিলেন না, পুত্রটিকে বুকের মধ্যে চাপিয়া ধরিলেন। তাহার পর অঞ্চলে চক্ষু SSS