বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। ছিল, তাহা ও আর নাই । ভঁহিব্রু সদাই আশঙ্কা হইতেছিল, না। জানি পুষ্পের অদৃষ্টে কি আছে। কিন্তু আবার পরীক্ষণেই মনে হইতেছিল বিধিনিৰ্ব্বন্ধ অলঙ্ঘনীয়। যদি পুষ্পের অদৃষ্ট সুখ ন! থাকে, তঁাহার সাধ্য কি যে তিনি তাহার কন্যাকে সুখী করেন । কিন্তু তবু তো তা মন বুঝিতে চায় না । তঁহার অনিচ্ছাসত্ত্বেও একটা প্রবল নিশ্বাস তাহার বুকের ভিতর হইতে বাহির হইয়া আসিল । তিনি ধীরে ধীরে বলিলেন, “আংটাটা যখন এতদিন ফেবত দেওয়া হয়নি, তখন আর এপন ফেরত দিয়ে কি হবে । রায় মহাশয়ের নাতি যখন আংটীট। তোকে দিয়েছে, আর যখন তুই হাত পেতে তা নিষ্টছিস তখন আর ফেরত দেওয়া ভাল দেখায় না । এখন ফেরত দিলে তঁরা ভাববেন আমরা তঁায্যের ইচ্ছে কবে অপমান কবুলুম ; অনেক গড়িয়েছে আর ঝগড়া বিবাদে কাজ কি,-আংটীটা তোর হাতেই থাক ।” কন্যার চক্ষু ছল ছল করিয়া উঠিল,-"তাহার গলার স্বরা যেন কম্পিত হইল,-“সে অতি ক্ষণস্বরে বলিল, “না মা। এ আংটা আর আমি পারবে না। ’ কমলরাণী কন্যার অন্তরের ভাব বুঝিতে পারিলেন-একটা তীব্ৰ অনুশোচনায় তঁহার প্রাণের ভিতরটা যেন কঁাদিয়া কঁাদিয়া উঠিতে লাগিল। তিনি একেবারে নীরব হইয়া গেলেন । পুষ্প ধীরে ধীরে অখিলচন্দ্ৰ প্ৰদত্ত সেই অঙ্গুরীয়টা যাহা এতদিন তাহার অঙ্গুলীতে ছিল, তাহ খুলিয়া ফেলিয়া মায়ের হস্তে প্ৰদান করিল। অঙ্গুরীয়টা খুলিয়া ফেলিতে কেমন যেন তাহার হৃদয়ে একটা কিসের cG3 >8む