পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধ । r I sa ser li w girl fr “রায় মহাশয় আসিয়া পড়িয়াছেন’’, তখনও সেই কথাটা যেন একটা মঙ্গা বিস্ময় সৃষ্টি করিয়া তাহার আসেপাশে কর্ণের চারিদিকে প্ৰতিধ্বনিত হইতেছিল। সত্যই কি রায় মহাশয় পুস্পকে জোর করিয়া লইয়। যাইবার জন্য লাঠিয়াল লইয়া তাহার বাড়ীতে চড়ওয়৷ হইয়াছেন ? এও কি সম্ভব ! সেই পরদুঃখ কাতর-অন্যাগের জীবন-রামজীবনপুরের প্রাণ-র্যাহাকে গ্রামের লোক দেবতার গ্যায়। ভক্তি করে-তাহার দ্বারা কি এমন ঘুণিত কাজ পাস্তব ! তিনি এত হীন ! এত নীচ । এ কথাটা ভাবিতেও কমলরাণীর চক্ষে জল আসিল, তিনি ব্যাকুল ভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “দাদা ? কোথায় তিনি এসে পড়েছেন ? এা। তবে কি তিনি পুষ্পকে জোর করে নিয়ে যেতে এসেছেন ?” তারিণীচরণ কঁদি কঁদ স্বরে বলিল, “তা জানিনি বোন--- তবে তিনি এসেছেন । তিনি তোমার সঙ্গে একবার সাক্ষাৎ কৰ্ত্তে চান । আমি তাকে ভেতরে আসতে বলে, তোমায় খবর দিতে ছুটে এসেছি। ওই-তিনি এসে পড়লেন ।” সিঁড়িতে পাদুকার শব্দ শ্রুত হইল। কমলরাণী ভ্ৰাতাকে আর কোনও প্রশ্ন করিবার অবসর পাইলেন না । সত্যই রায় মহাশয় তখন একেবারে উপরে আসিয়া পড়িয়াছিলেন । তিনি তাড়াতাড়ি দ্বারের অন্তরালে যাইয়া দাড়াইলেন। তঁহার অন্তরের মধ্যে ভ্রাতার সেই অপরিসীম ভীতি এবং কাতরোক্তি যে কি ভীষণ ঝঙ্কার ন্যায় প্রবাহিত হইতেছিল, তাহা কেবল অন্তৰ্য্যামীই দেখিতে 9 शेव्तन् ।