পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। ছায়ালোকে পরিণত হইতেছিল । কি যেন একটা কিসের আবেগে তাহার সমস্ত শরীর কম্পিত হইল,-নয়নে অশ্রু উছলিয়। উঠিল। তিনি নিজেকে সংযত রাখিবার জন্য দ্বারের কপাটটা জোর করিয়া চাপিয়া ধরিলেন । এক মুহূৰ্ত্ত মৌন থাকিয়া রায় মহাশয় আবার বলিলেন, “আর একদিন যখন তুমি ম৷ এইটুকু ছিলোঁ,-তখন আমি তোমায় আনতে যায়নি বলে-অভিমান করে তাই তুমি মা আমার ঘরে যাওনি। তাই মা ! আজি বুড়ে গৌরীশঙ্কর রায় তোমার দ্বারে অতিথি হয়ে, তোমার মেয়েটাকে ভিক্ষা কৰ্ত্তে এসেছে। জানি তুমি কিছুতেই আমায় ফেরাতে পাবুবে না,-তুমি নিশ্চয়ই কুলবধুর মৰ্য্যাদা রাখবে।” রায় মহাশয়ের শুষ্ক শীর্ণ মুখের দিকে চাহিয়া-উপস্থিত সকলের চক্ষু সজল হইয়া উঠিল । হৃদয়ের বাধ ভাঙ্গিয়া কমলরাণীর নিরোধ অশ্রু কেবলই গণ্ড বহিয়া গড়াইয়া পড়িতে লাগিল,- তিনি নিজেকে একটু প্ৰকৃতিস্থ করিয়া কন্যার দিকে ফিরিয়া অশ্রজড়িতকণ্ঠে বলিলেন, “পুষ্প, রায় মশায় তোকে নিজে নিতে এসেছেন,-আর তো । আমি না বলতে পারিনি। মা । যা-রায় মশায়কে প্ৰণাম কর।” পুষ্প সজ্জিত-সুন্দর-দেহে, লজ্জিত নত-মুখে ধীরে ধীরে গৃহের ভিতর হইতে বাহির হইয়া রাব্য মহাশয়ের পদতলে হাটু গাড়িয়া বসিয়া একেবারে তঁহার পদতলে মাথা ঠেকাইয়া প্ৰণাম করিল। আজ আর সেই দুঃসহ লজ্জা কিংবা সঙ্কোচ তাহাকে পীড়ন করিল না । রসিক মোহন রায় মহাশয়ের সহিত ভিতরে SV