বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু ! ஆ কৃষ্ণবর্ণ কয়লা অগ্নির উত্তাপে। রক্তবর্ণ হইয়াছিল, সহসা যেন খানিকটা জল পড়িয়া একেবারে ঠাণ্ড হইয়া গেল। সকলেই স্নানমুখে নিজ নিজ কাৰ্য্যে প্রস্থান করিতে আরম্ভ করিল। অখিলচন্দ্ৰ কাছারী বাটীতে প্ৰবেশ করিয়া “বিবাদ বিসস্বাদ’ প্ৰভৃতি বড় বড় কথা শুনিয়া একেবারে হকৃচকিয়া গিয়াছিলেন, তিনি এ যাবৎ কথা বলিবার মোটেই ফুৰ্ব্বসুধ পান নাই, এতক্ষণে একটু অবসর পাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “দাদামশাই সকালে এত বড় বড় কথা ব্যবহার হচ্ছে কেন, এরতে কোন অর্থই খুঁজে পাইনে।” রসিক তাড়াতাড়ি বলিল, “ছোট বাবু, বড়কর্তা যে নুয়ে গেল, নইলে-বুঝলেন, এই লাঠিতেই দেখতেন এখনি অর্থ বেশ পরিষ্কার হয়ে আসত।’ রায় মহাশয়ের রাগ অনেকটা পড়িয়া গিয়াছিল । তিনি মৃদু। হাসিয়া বলিলেন, “ভায়া ! মাপ আর বায়না ঠিক জায়গায়ই দিয়েছিলে বটে, কিন্তু কারিকর বড় বেয়াড়, সে এখন বায়ন ফেরত দিতে চায়।” । অখিলচন্দ্ৰ কথাটা বুঝিয়াও বুঝিলেন না। তিনি কথাটার বিষদ ব্যাখ্যা শুনিবার জন্য ঠাকুরদাদার মুখের দিকে চাহিলেন । রায় মহাশয় কথাটা ব্যাখ্যা করিতে যাইতেছিলেন। কিন্তু ভট্টাচাৰ্য্য খুড়া এতক্ষণে একটু সাহস পাইয়া বলিলেন, “রায়মশাই, একটা স্বাস্ত্যয়নের প্রয়োজন। মঘা নক্ষত্রে ফাস্তুনীি নক্ষত্রের সংযোগ হলেই প্ৰায় এইরূপ ঘটে থাকে।” মগা নক্ষত্রে ফাল্গুনী নক্ষত্রের সংযোগে কি ঘটে, আর কি NObr