বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। -*Yʻrtb 1 ay, Y. ` v চক্ৰবৰ্ত্তাঁকে সম্বোধন করিয়া বলিল, “বোস গোবিন্দ, আমি এলুম। বলে ।” তারিণীচরণ গমনোদ্যত হইলে, রসিক একবার শেষ চেষ্ট৷ করিল,-“মশাই গো, আমার অর্জিটা যেন পেশ করা হয়।’ তারিণীচরণ সে কথার কোন উত্তর দিল না,-সে রক্তিমন্নয়নে একবার রসিকের দিকে চাহিয়া অন্তঃপুরের দিকে চলিয়া গেল। * বাহিরের গোলযোগটা বেশ সজাগ হইয়া উঠিয়াছিল, কারণ তাহার সাড়া অন্তঃপুর পর্যন্ত পৌঁছিয়াছিল। কমলরাণী যখন দাসীর মুখে শুনিলেন, যে একজন লোক তঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে চায়, কিন্তু মামাবাবু আপত্তি করায় বৈঠকখানায় বেশ একটা ঝগড়া পাকাষ্টয়া উঠিয়াছে, তখন তাহার প্রাণটা কেমন বিচলিত হইয়া পড়িল । লোকটা কে,-সে। কেন তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে চায় প্রভৃতি জানিবার জন্য তঁহাকে বড়ই উদগ্রীব করিয়া দিল,-তিনি তৎক্ষণাৎ দাসীকে দিয়া তারিণীচরণকে ডাকাইয়া পাঠাইলেন। ভ্রাতা সম্মুখে উপস্থিত হইবামাত্র তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “দাদা, বাহিরে এত গোলমাল কিসের ?” তারিণীচরণের রাগে তখন পর্যন্ত সমস্ত শরীর জ্বলিতেছিল ; সে ক্ৰোধকম্পিতস্বরে উত্তর দিল, “গৌরীশঙ্কর রায়ের ওই যে সেই --মোসাহেবটা রসিক, সে এসে সকাল থেকে একেবারে বিরক্ত করে তুলেছে। গৌরীশঙ্কর রায় চান তার নান্তীটির সঙ্গে পুষ্পের বিয়ে হাঙ্ক । সুখ কত, তা হলে রামজীবনপুরটা ভঁার একচেটে হয়ে যায়। দু'হাজার বার বলছি, তা হ’লে ন-তবু নড়বে না। Wኃ¢