বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। গলায় একখানা জরাজীর্ণ কথঞ্চিৎ ফরসা উড়ানী, পায়ে একজোড়া কালি বুকু "সের ফিতা বাধা জুতা। মাথায় উছু খুন্তু পাকা চুল । বহুদিন কামানে অভাবে সাদা কালো খোচা খোচা দাড়ীতে মুখখানা ভরা। সে জুতার ফিতা খুলিতে খুলিতে বলিল, “তারপর শুনেছি। রসিক মোহন, ওদিকৃকার খবরটা । তোমার ওই আস্ত মাথাটা, আর যে হাতে আংটা পরান হয়েছে, সেই কঁচা হাতখানা যে এনে দিতে পারবে তাকে ও বাড়ীর তারিণীচরণ হাজার টাকা দেবে। রায় মহাশয়ের নাতির কঁচা হাতখানা চায় ; ই-বুকের יין 365 וקון• রসিক যেন ইম্প্রিংএর পুতুলের মত লাফাইয়া উঠিল—তাড়াতাড়ি তাহার লাঠিটা তুলিয়া লইয়া কালি ভড়ের হাতখানা সজোরে টানিয়া চীৎকার করিয়া বলিল, “চলতো দেখি হে, সে লোকট। 6क १ भांथों 6नश।" আকস্মিক টানে কালি ভড় দুই তিন হাত দুরে যাইয়া পড়িল, তাহার পদস্থিত জুতার যে পাটীর ফিতা খোলা হইয়াছিল। তাহ পা হইতে বাহির হইয়া একেবারে বারান্দার নীচে গিয়া পড়িল । সে উবুড় হইয়া পড়িতে পড়িতে কোন ক্ৰমে বঁাচিয়া গেল। সে আসিয়াছিল কেবল আগুনটা ধরাইবার জন্য । সে একেবারেই জানিত না যে, অগ্নি বহুক্ষণ হইতেই ভিতরে ভিতরে জ্বলিতেছিল তাহার এক ফোটা কেরাসিন তৈল পাইবামাত্ৰ তাহা এরূপভাবে জলিয়া উঠিবে। কালি ভড় একেবারে অবাক হইয়া গিয়াছিল । সহসা ধাক্কা খাইয়া, সে শ্ৰীষ্মকালের শুষ্ক পত্রের ন্যায় দাউ দাউ করিয়া জ্বলিয়া উঠিল, ዓ8