বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। weergelegegeveer মনটাকে সাদা করিতে পারিলেন না। ;-মুখে প্ৰকাশ না করিলেও আজ মনটা তাহার একেবারেই খারাপ হইয়া পড়িয়াছিল, তাই তিনি কন্যাকে সঙ্গে লইয়া সন্ধ্যার পর বুড়ো শিবের মন্দিরে রওনা হইলেন । কমলরাণীর শিবিক ও বীরকন্দাজ দেখিয়া মন্দিরের আশে পাশের লোক সরিয়া যাইতে লাগিল,-শিবিকা মন্দিরের ভিত্র প্রবিষ্ট হইল। আসল মন্দিরের সম্মুখে একটা নাটমন্দির,-সেই স্থানে চৰ্ম্মপাদুকা রাখিয়া নগ্নপদে মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করিতে হয়। কমলরাণীর শিবিকা আসিয়া সেই নাট মন্দিরের সন্মুখে থামিল ;-কমলরাণী বসনে সৰ্বাঙ্গ আচ্ছাদিত করিয়া কন্যার হস্ত ধরিয়া পান্ধীর ভিতর হইতে বাহির হইলেন । পুষ্প পান্ধী হইতে বাহির হইয়া মস্তক তুলিয়াই নাটমন্দিরের একপার্থে দণ্ডায়মান এক ব্যক্তিকে দেখিয়া ফিক্‌ করিয়া হাসিয়া ফেলিল। সে হাসিতে হাসিতে সেই দিকে চাহিয়া বলিল, “বা বেশ তো মজা! তুমি কখন এলে ?’ বাঙ্গালা দেশের একটা প্ৰবাদ অাছে, “যেখানে বাঘের ভয়, সেইখানেই সন্ধ্যা হয়।’ আজি অখিলচন্দ্ৰও বুড়ো শিবের মন্দির দেখিতে আসিয়াছিলেন। বহুক্ষণ পূর্বেই তিনি ফিরিয়া যাইতেন, কিন্তু মন্দিরের পুরোহিত গৌরীশঙ্কর রায়ের পৌত্রকে মন্দিরের অলৌকিক ঘটনাগুলা না শুনাইয়া ছাড়িতে পারিলেন না । তিনি মহা সমাদরে অখিলচন্দ্ৰকে স্বয়ং সঙ্গে লইয়া ঠাকুরের সাজ-সরঞ্জাম একে একে সমস্ত দেখাইয়া, ক্রমে ক্রমে বেশ গুছাইয়া সকল ቤg\©