পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরন শাস্ত্রী.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ, ο ক্লাইব চরিত , হইল ক্লাইবও সৈনিক বৃত্তি গ্ৰহণ করিলেন। পণ্ডিচারী, ইংরাজ কতৃক 'অবরুদ্ধ হইল – ইংরাজ, ফরাসীদের বড় কিছুই করিতে পারিল মা, অগত্যা অবরোধ উঠাইয়া চলিয়া আসিতে বাধ্য হইল। এই অবরোধের সময়ের একটি ঘটনায় ক্লাইব-চরিত্র বেশ । পরিস্ফুট হয়। যে স্থানে অবস্থান করিয়া ক্লাইব আক্রমণ করিতেছিলেন, সে স্থানে বারুদ আদি যুদ্ধের দ্রব্য সম্ভার ফুরাইয়া যায়। একজন সামান্য সৈনিক পঠাইয় তাহা আনয়ন করা যাইতে পারিত, কিন্তু ক্লাইব তােহা না করিয়া স্বয়ং ত্যাহা আনিতে যান। ক্লাইবের। কাৰ্য্য দেখিয়া জনৈক সৈনিক পুরুষ বিদ্রুপ করিয়া কহিয়াছিলেন যে, এরূপ সঙ্কট সময়ে স্থান ত্যাগ করিয়া যাওয়ায় কাৰ্য্যে অনুরাগ অপেক্ষা, প্ৰাণের প্রতি অনুরাগটাই বিশেষরূপে ব্যক্ত হইয়া থাকে। এই কথা উপলক্ষ করিয়া উভয়ে বাচসা হয় ও ক্লাইব প্রহৃত হন। উভয়ে দ্বন্দ্বযুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হইলে সমীপবৰ্ত্তী কৰ্ম্মচারীরা তাহাদিগকে নিবৃত্ত করেন। সামরিক বিচারে ক্লাইবের প্রতিদ্বন্দ্বী, সৈনিকগণ সম্মুখে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ক্লাইব ইহাতেও সন্তুষ্ট না হইয়া অবরোধের পর সেই কৰ্ম্মচারীর মস্তকোপরি বেত্ৰ উত্তোলন করিয়া বলেন, “তুমি নিতান্ত ঘুণিত ও নীচ তুমি বেত্ৰস্পর্শেরও যোগ্য নহ।” এই ঘটনায় সেই কৰ্ম্মচারী মৰ্ম্মাহত হইয়। পরদিবস কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করে। ক্লাইব কলহপ্রিয়, ক্ৰোধী, জুন্নাড়ী ও মাথাপাগলা ছিলেন। সমব্যবসায়ীর কোন অপরাধ হইলে তিনি ক্ষমা করিতে শিক্ষিত হন নাই। যে সকল সদগুণ থাকিলে মানুষ, সমাজের প্রাধান্য লাভ করে ক্লাইবের তাহা আদৌ ছিল না। জীবনের প্রথম কাল হইতেই তিনি তাঁহা সপ্রমাণ করিয়াছেন । ,