পাতা:গড্‌ডলিকা - পরশুরাম (১৯২৪).pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গড্‌ডলিকা

ংশলোচনবাবুর বৈঠকখানায় যে সান্ধ্য আড্ডা বসে, তাহাতে নিত্য বহুসংখ্যক রাজা-উজির বধ হইয়া থাকে। লাটসাহেব, সুরেন বাঁড়ুয্যে, মোহনবাগান, পরমার্থ-তত্ত্ব, প্রতিবেশী অধর বুড়োর শ্রাদ্ধ, আলিপুরের নূতন কুমীর,—কোনো প্রসঙ্গই বাদ যায় না। সম্প্রতি সাত দিন ধরিয়া বাঘের বিষয় আলোচিত হইতেছিল। এই সূত্রে গতকল্য বংশলোচনের শ্যালক নগেন এবং দূর-সম্পর্কের ভাগিনেয় উদয়ের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হয়। অন্যান্য সভ্য অনেক কষ্টে তাহাদিগকে নিরস্ত করেন।

 বংশলোচনের বৈঠকখানা ঘরটি বেশ বড় ও সুসজ্জিত; অর্থাৎ অনেকগুলি ছবি, আয়না, আলমারি, চেয়ার, ইত্যাদি জিনিষপত্রে ভর্ত্তি। প্রথমেই নজরে পড়ে একটি কার্পেটে-বোনা ছবি, কালো জমির উপর আসমানি রঙের বিড়াল। যুদ্ধের সময় বাজারে সাদা পশম ছিল না, সুতরাং বিড়ালটির এই দশা হইয়াছে। ছবির নীচে সর্ব্বসাধারণের অবগতির জন্য বড় বড় ইংরাজি অক্ষরে লেখা আছে— CAT. তার নীচে রচয়িত্রীর,নাম—মানিনী দেবী। ইনিই গৃহকর্ত্রী। ঘরের অপর দিকের দেওয়ালে একটি রাধাকৃষ্ণের তৈল-

৯৪