টেঁপী বলিল—“বা রে, ওকে ত বাবা এনেচে, আমি পুষ্বো।”
ঘেণ্টু বলিল—“ঘোড়া ঘোড়া খেল্ব।”
মানিনী বলিলেন—“খেলা বার করে দিচ্চি। ভদ্দর লোকে আবার ছাগল পোষে! বেরো, বেরো—ও দরওয়ান, ও চুকন্দর সিং—”
“হজৌর” বলিয়া হাঁক দিয়া চুকন্দর সিং হাজির হইল। শীর্ণ খর্ব্বাকৃতি বৃদ্ধ, গালপাট্টা দাড়ি, পাকানে। গোঁফ, জাঁকালো গলা এবং ততোধিক জাঁকাল নাম,— ইহারই জোরে সে চোট্টা এবং ডাকুর আক্রমণ হইতে দেউড়ি রক্ষা করে।
অন্দরের মধ্যে হট্টগোল শুনিয়া রায়-বাহাদুর বুঝিলেন, যুদ্ধ অনিবার্য্য। মনে মনে তাল ঠুকিয়া বাড়ীর ভিতরে আসিলেন। গৃহিণী তাঁর প্রতি দৃক্পাত না করিয়া দরওয়ানকে বলিলেন—“ছাগলটাকে আভি নিকাল দেও, একদম ফটকের বাইরে। নেই ত এক্ষুনি ছিষ্টি নোংরা করেগা।”
চুকন্দর বলিল—“বহুৎ আচ্ছা।”
বংশলোচন পাল্টা হুকুম দিলেন—“দেখো চুকন্দর সিং, ‘এই বক্ড়ি গেটের বাইরে যাগা ত তোম্রা নোকরি ভি যাগা।”
১০০