নিরেট জলধারা, তার ফাঁকে ফাঁকে ছোট ছোট ফোঁটা। সমস্ত শূন্য ভরাট হইয়া গিয়াছে।
মান-ইজ্জৎ কাপড়-চোপড় সবই গিয়াছে, এখন প্রাণটা রক্ষা পাইলে হয়। হা রে হতভাগা ছাগল, কি কুক্ষণে,
বংশলোচনের চোখের সামনে একটা উগ্র বেগুনি আলো খেলিয়া গেল— সঙ্গে সঙ্গে আকাশের সঞ্চিত বিশ লক্ষ ভোল্ট, ইলেক্ট্রিসিটি অদূরবর্ত্তী একটা নারিকেল গাছের ব্রহ্মরন্ধ্র ভেদ করিয়া বিকট নাদে ভূগর্ভে প্রবেশ। করিল।
রাশি রাশি সরিষার ফুল। জগৎ লুপ্ত, তুমি নাই, আমি নাই। বংশলোচন সংজ্ঞা হারাইয়াছেন।
বৃষ্টি থামিয়াছে কিন্তু এখনো সোঁ সোঁ করিয়া হাওয়া চলিতেছে। ছেঁড়া মেঘের পর্দ্দা ঠেলিয়া দেবতারা দু’চারটা মিট্মিটে তারার লণ্ঠন লইয়া নীচের অবস্থা তদারক করিতেছেন।
বংশলোচন কর্দ্দম-শয্যায় শুইয়া ধীরে ধীরে সংজ্ঞা লাভ করিলেন। তিনি কে? রায় বাহাদুর। কোথায়? খালের নিকট। ও কিসের শব্দ? সোনাব্যাং। তাঁর নষ্টস্মৃতি ফিরিয়া আসিয়াছে ছাগলটা?
১২০