গাঁট্টালাল। হুঁ—হুঁ, গুরুজি আমাকে মালুম কচ্চেন।
রূপচাঁদ। দূর, তোকে কে চেনে? আমার দিকে চাইচেন।
জগদ্গুরু। তবে মূর্খ লোকে মহাবিদ্যার প্রয়োগটা আত্মসম্ভ্রম বাঁচিয়ে করতে পারে না। পাশ্চাত্য দেশ এ বিষয়ে অত্যন্ত উন্নত। জরির খাপের ভিতর যেমন তলোয়ার ঢাকা থাকে, মহাবিদ্যাকেও তেম্নি সাধারণ বিদ্যা দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। মহাবিদ্যার মূল সূত্রই হচ্চে—যদি না পড়ে ধরা।
প্রফেসার গুঁই। আপনি কি-সব খারাপ কথা বল্চেন?
অনেকে। শেম্, শেম্।
জগদ্গুরু। বৎস, লজ্জিত হয়ো না। তোমাদেরই এক পণ্ডিত বলেন—একাং লজ্জাং পরিত্যজ্য ত্রিভুবনবিজয়ী ভব। যদি মহাবিদ্যা শিখতে চাও, তবে সত্যের উলঙ্গ মূর্ত্তি দেখে ডরালে চলবে না। যা বলছিলুম শোনো।—এই মহাবিদ্যা যখন মানুষ, প্রথমে শেখে, তখন সে আনাড়ী শিকারীর মত এ বিদ্যার অপপ্রয়োগ করে। যেখানে ফাঁদ পেতে কার্যসিদ্ধি হতে পারে, সেখানে সে কুস্তি লড়ে বাঘ মারতে যায়। দু’চারটে
৭৯