পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিদিমার গল্প Abr\ ( R ) দিদিমা বললেন ঐ যে পড়ে ভিটে দেখছ, যা এমনি জঙ্গলে ভরে গেছে যে, দিনের বেলায়ও বাঘের ভয়ে লোক সেদিক দিয়ে যায় না, আর যেখানে শুধু পাঁচ হাত লম্বা বন্দুক দিয়ে বুনোরা কখনও কখনও শূয়োর শিকার করে, ঐ ছিল তোমাদের পরিবারের সব চাইতে বড় জমিদার স্বরূপনারায়ণের বাড়ী। তিনি নবাব সরকারে চাকরি করে অগাধ পয়সা করেছিলেন। তা ছাড়া লোককে বিচার করা ও তাদের শাস্তি দেবার ক্ষমতাও--গৌড়ের বাদশার সনন্দের বলে, তঁর ছিল বলে শুনেছি। যদিঢ় তার রাজা খেতাব ছিল না, রাজার সমস্ত ক্ষমতাই তীর ছিল, এমন কি মানুষকে কোতল করবারও । ঐ যে প্ৰকাণ্ড দীঘি দেখতে পাও, যা আজ পানায় বুজে গেছে, ওটি শুনতে পাই তাঁর কয়েদীদের দিয়ে কাটান। আমি অবশ্য তোমাদের বাড়ীতে বিয়ে হয়ে এসে, বড় তরফের সৈন্যসামন্ত কিছুই দেখিনি, কারণ তখন আর নবাবের আমল নেই।--হয়েছে ইংরাজের আমল। জমিদারের সব হয়ে পড়েছে শুধু জমির মালিক, প্রজার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা নয়। তবে আমি যখন এ বাড়ীতে আসি, তখনও বড়তরফের খুব রক্রবা সময়, দাসদাসী পাঠকবরকন্দাজ গুরুপুরোহিত আত্মীয়স্বজন নিয়ে প্রায় শতাধিক লোক ওয়াড় *???भ করে রেখেছিল। প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলায় ওখানে পাশ খেলার আড়া বসত আর গ্রামের যত নিষ্কর্ম বাবুর দল বড় বাড়ীতে গিয়ে জুটত, আর রাত দুটাে তিনটেয় আড়া ভাঙলে ওখানেই আহার করে বাড়া ফিরতি । তারপর হত বাড়ীর মেয়েদের ছুটি। এরি নাম নাকি সেকেলে জমিদারী চাল । ( . ) সে যাই হোক, আজও এদের ভিটে বজায় থাকত আর ও-পরিবারের মোটা ভাতকাপড়ের ব্যবস্থা থাকত, যেমন তোমাদের আছে, भ-िम ঐ বংশে একটি কুলাঙ্গার জন্মত। ভৈরবনারায়ণ স্বরূপনারায়ণের