বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীণাবাই 8 o dł মিনিটের মধ্যে ফিরে এলুম। বীণাদেবী হুকুম করলেন, “বঙ্গলামে বোলো, সবকেই সমঝেগ।” আমি বললুম—“প্রার্থনা ভদ্রলোক আপনাকে জানাবেন, কেননা। আপনি স্ত্রীলোক-আমাদের উপর তঁর ভরসা নেই। এই পাশের একতালা বাড়ীর ভাড়াটেবাবু নাকি সাংঘাতিক ব্যারামে ভুগছেন। উপরের গান-বাজনা নীচের রোগীর কানে অসহ্য গোলমালের মত ঠেকছে।” একথা শুনে বীণাদেবী বললেন- “ঘোষাল, তুমি সামনের ফটক দিয়ে যাও, আমি পাশের সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাচ্ছি।” সেই আমলা বাবুটির সঙ্গে আমিও সেখানে উপস্থিত হলুম, পিঠাপঠ অন্য সিড়ি দিয়ে বীণাদেবীও নেমে এলেন। তারপর যা ঘটল, সে অদ্ভুত কাণ্ড ;-ত গল্পে মধ্যে মধ্যে হয়, জীবনে নিত্য হয় না। কারণ কথার অঘটনঘটনপটীয়সী শক্তি অসীম। নটবরের নিবেদন বীণাদেবীকে দেখবামাত্র সেই আমলাবাবুট “কে, দিদিমণি ?”— বলে তাকে সাষ্টাঙ্গ প্ৰণিপাত করে তার পায়ের ধূলো নিয়ে কপালে ঠেকালেন। বীণাও গদগদ কণ্ঠেজিজ্ঞাসা করলেন-নটাবর চট্টরাজ, কার অসুখ ? -বড় বাবুর। -কি, দাদার ? -আজ্ঞে তারই । --রোগ কি ? —ডাক্তাররা ত বলেন, এ রোগে লোক আজ আছে কাল নেই। —এখানে কেন এসেছ ? বড়বাবুর চিকিৎসার জন্য ? সঙ্গে কে আছে ? —পুরোনাে চাকরবাকর, আমি আর বড় বৌঠাকরুণ। --বৌঠান কোথায় ? -এই পাশের ঘরে আছেন।