পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যখ 8\ጋዓ ছোট্ট যে, একটি ছোট এলাচের খোসার ভিতর তাকে পোরা যায়। রমা ঠাকুর আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,-নন্দীগ্রাম কোথায় জানেন ? আমি বললুম, না। তিনি বললেন—তা জানবেন কি করে ? আপনি দু-পাঁচ বছরে একবার বাড়ী আসেন, আর দু’ পাঁচদিন থেকেই চলে যান। নন্দীগ্রাম এখান থেকে দু-পা। এই দক্ষিণের বিলটে পেরিয়ে তারপর মাঠটার ওপারে বাঁয়ে ভেঙ্গে যে পথটা পাওয়া যায়, সেই পথটায় কিছুদূর গেলেই নন্দীগ্রামে পৌছান যায়। এখান থেকে মাত্ৰ পাচক্রোশ রাস্তা। বছর তিনেক আগে আমার একবার নন্দীগ্রামে যাবার দরকার ছিল। দরকার আর কিছুই নয়—সেখানে গেলে খালি হাতে আর ফিরতে হত না। সে গ্রামের অধিকারী বাবুরা দেবদ্বিজে অত্যন্ত ভক্তি করতেন, যদিচ তারাও ছিলেন ব্ৰাহ্মণ। তঁদের দ্বারস্থ হলে টাকাটা সিকেটা মিলত । আমি স্থির করলুম, কোজাগর পূর্ণিমার রাতে বেরিয়ে পড়ব। সেদিন তা সিদ্ধি খেতেই হয়, আর সমস্ত রাত জগতেও হয়। তাই মনে করলুম যে, ঘরে বসে রাত জাগার চাইতে এক ঘটি সিদ্ধি খেয়ে রাত্তিরেই বেরিয়ে পড়ব—আর হোসে-খেলে পাঁচ ক্রোশ পথ চলে যাব। রাত এগারটায় বেরলেও ভোর হতে না হতে নন্দীগ্রামে পেীছৰ আমি জিজ্ঞেস করলুম-“রাত্তিরে একা এই বনজঙ্গলের ভিতর नििश् 6षऊ ऊँ रुद्भन्न न ?” ङिनि 6शन ऐंखन्न कन्नन्नन्न-“ऊछ् কিসের, চাের-ডাকাতের ? জানেন না, লেংটার নেই বাটপাড়ের ভয় ? চাের-ডাকাত আমার নেবে কি ? গলার তুলসী কাঠের মালা, না গায়ের নামাবলী ? তা ছাড়া এ অঞ্চলে যারা ডাকাতি করে, তারা সব আপনাদেরই মাইনে করা লেঠেল। তারা আমাকে ছোবে না, সঙ্গে হীরাজহরৎ থাকলেও নয়। ভয় অবশ্য বাঘের আছে, কিন্তু তারাও আমাদের মত গরীব ব্রাহ্মণদের ছোঁয় না। আমাদের শরীরে আছে হাড় আর চামড়া আর দু-তিন ছটাক রক্ত, কিন্তু রস একেবারেই