পাতা:গীতরত্ন গ্রন্থঃ (১৮৭০)- রামনিধি গুপ্ত.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[  ]
ভৈরবী। তাল জলদ্‌ তেতালা।

 কাজল নয়নে আর দিওনা কখন।
শরে কেবা নাহি মরে, বিষযোগ তাহে কেন॥
তোমার কটাক্ষে কেহ, না বাঁচিত প্রাণ।
বাঁচিবার এক হেতু আছে তাহে শুন॥
সুধা হলাহল সুরা নয়নের তিন গুণ॥ ১॥


তাল হরি।

 মনে বুঝি প্রাণ পড়েছে মোরে।
তেঁই সে এসেছ নাথ, এত দিন পরে॥
পিরীতি করিয়ে প্রাণ, কে কোথা এসে পুনঃ,
ভুলিয়ে এসেছ বুঝি, মন রাখিবারে॥ ১॥

• অন্তর অন্তরে অন্তর হবে কেন।
উৰ্দ্ধে দিনমণি সলিলে নলিনী মনে মনে একই মন।
চক্রবাক চক্রবাকী নিশিতে বিচ্ছেদ দেখি।
অন্তরে অন্তর দেখ পিরীতের এই হয় গুণ॥ ১॥


ঢিমে তেতালা।

 যদি সুখে থাকিবে হে শুন মন রাজন।
অহঙ্কার দূর কর ক্রোধ নিবারণ॥
প্রেমেরে প্রিয় জানিবে, মোহ নিকটে না যাবে,
বিরহে যত জ্বলিবে তত সুখ জান॥ ১॥