আইস আইস ঠাকুর মশায় পালঙ্গে বৈসসিয়া।
আমার সন্ন্যাসের গননা শুনান ত বসিয়া॥[১]
- ↑ পাঠান্তর—
দরবারে জাইয়া পণ্ডিত কুরসিত জানাইল।
কুলের দেবতা বলি রাজা প্রনাম জানাইল॥
ভাইয়া ঠাকুর বলি পণ্ডিতক পালঙ্কে বসাইল॥
একটা একটা করি গনে ভরন হাড়ির ভাত।
রান্দার রাত্রিতে গনে পণ্ডিত তেতুলের পাত॥
একে একে গনিয়া আনে জত নদি নালা॥
তিন কোন পৃথিবির গনোন ঠাঞতে গনি বইসে।
গব্তের ভিতর স্ত্রীপুরুস তার গনন গনে॥
শুভ শুভ বলি পাঞ্জি বাহির করিলে টানিয়া।
আপনে ধম্মের পাঞ্জি বলে রাও দিয়া॥
ঘনে নাড়ে পাঞ্জি পুথি বনে নাড়ে মাতা।
ঘনে নাড়ে মাতা পণ্ডিত খনে কয় কথা॥
পণ্ডিত বলে শুন খেতু করি নিবেদন।
এবারকার সমএ আমি না পাইলাম কুশল॥
মহারাজা তোমার জাইবেক সন্ন্যাসক নাগিয়া।
তুইতো রাজা হবি খেতু পাটোত বসিয়া।
অদুনা পদুনা রহিবে মহাসতি হএয়া॥
স্ত্রীরাজ। স্ত্রীবাদসা স্ত্রী লঙ্কেশ্বর।
স্ত্রী বই পুরুস নাহি রবে মহলের ভিতর॥
তুই খেতু রহিবু বাহিরের দখল॥
জখন খেতু ছোড়া এ সংবাদ শুনিল।
থর থর করি খেতু কাপিতে নাগিল॥
জেই রানির জন্য আমার দৌড়া দৌড়ি।
সেই রানি না পাওঁ আমি খেতু অধিকারি॥
হস্ত ধরি পণ্ডিতক তুলিলে টানিয়া।
গর্দানা ধরি পণ্ডিতক কিল পঞ্চাশেক দিল।
রাজার দরবারক নাগি গমন করিল॥