সন্ন্যাস হবার কান্দন দেখি রাজার দয়া হৈল।[১]
কত হাজার মন খ্যাসারি পাক করিয়া নিল॥
সন্য সেনাক খোআইলে সন্তোস করিয়া।৫৬৫
বাপ কালিয়া টাঙ্গন রাখিলে এলাগান নাগিয়া॥
কত শত হেঙ্গল রাখিলে বন্ধন করিয়া।
কত শত গাভি রাজা রাখিলে বান্ধিয়া॥
দুদ কলা খোআইলে সারি শুআ পঙ্খিক সন্তোস করিয়া।
সারি শুআ পঙ্খি থুইলে দরজাত টাঙ্গেয়া[২]॥৫৭০
বারখানে চকি বসাইল ত্যারখানে থানা।
বার বছর হুকুম কৈল্ল লোক আসবার মানা॥
রামজালে ব্রম্মজালে রাজপুরি নইলে ঘিরিয়া।
সত্যের রন্ন থুইলে চুংগিতে টাঙ্গেয়া॥[৩]
- ↑ এই পাঠে এবং ডাঃ গ্রীয়ার্সনের সংগৃহীত পাঠে রাজার সন্ন্যাস বেশ গ্রহণের উপক্রম সময়েই ক্রন্দনের পালা।
- ↑ পাঠান্তরে—‘টাঙ্গেয়া’ স্থলে ‘লটকাইয়া’।
- ↑ পাঠান্তর—অদুনা বলে বইন মোর পদুনা নাইওর দিদি।
খ্যাড় কান্তার করি গ্যাল সোআমি নিজ পতি॥
শয়ন করিতে কান্দে কুসুমের পালঙ্কি।
পাট মাঝে কান্দে রাজার হরিচন্দ্রের বেটি॥
তেলি কান্দে মালি কান্দে আরও কান্দে ধুবি।
রাজাক নাগিয়া কান্দে ছয় মাসি রুগি॥
মহারাজা সন্ন্যাস হয় শব্দ গ্যাল দুর।
পাতারে পড়ি কান্দে শৃগাল কুকুর।
হরিনের বালাখানা কান্দে ছোকোড়ার হাওয়ালখানা।
পাইক সিপাই কান্দনে ভিজে জামাজোড়া॥
গুদারের ঘাটে কান্দে বাইস কাহন নাও।
বাইস কাহন নাও কান্দে তেইস কাহন ডাড়ি।
গলেআর মাজি কান্দে বিসাসয় কাণ্ডারি॥